শিরোনাম
শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রতিশোধপরায়ণতায় খুনোখুনি

কক্সবাজার জয়পুরহাট নোয়াখালী নেত্রকোনায় পাঁচ লাশ

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রতিশোধপরায়ণতায় খুনোখুনি

কক্সবাজারে খুনের প্রতিশোধ নিতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া জয়পুরহাটে এনজিও কর্মী, নোয়াখালীতে গৃহবধূ ও নেত্রকোনায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কক্সবাজার : জেলার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে পূর্বশত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে খুন হন রেজাউল করিম নামে এক যুবক। এ হত্যার প্রতিশোধ নিতে কয়েক ঘণ্টা পর সাইফুল ইসলাম নামে আরেক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গনি বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে একই দিনে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সাইফুলের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জয়পুরহাট : জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার তুলসীগঙ্গা নদী থেকে রাজু আহমেদ (৩৫) নামে এক এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিলের ঘাট এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। রাজু ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী গ্রামের সাগর আলীর ছেলে। তিনি এসকেএস ফাউন্ডেশনের জয়পুরহাট সদরের জামালগঞ্জ ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। এসকেএস ফাউন্ডেশন জামালগঞ্জ ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক আবদুল মালেক বলেন, টাকার জেরে নয়, পূর্বশত্রুতার জেরেই তাকে কে বা কারা হত্যা করেছে।

নোয়াখালী : জেলার কোম্পানীগঞ্জের চরকলমি গ্রামে ফারজানা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরকলমি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ফারজানা সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে।

নেত্রকোনা : জেলার মদনপুরে সাইডুলি নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মদনপুর শাহ সুলতান কমর উদ্দিন (রহ.)-এর মাজারের পাশে সাইদুলি নদীতে কচুরিপানার মধ্যে লাশটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা বসির উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, গত ৫-৬ বছর আগে কোম্পানীগঞ্জের চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। জহির স্থানীয় বাজারে স্টিলের আলমারির ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে তার দোকানে আসা একাধিক নারী গ্রাহকের সঙ্গে সে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সঙ্গে তার ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে বেদম মারধর করে। স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অপরাপর সদস্যরা আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করে পরে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুস সুলতান বলেন, স্বামী স্ত্রীকে মারধর ও চড়-থাপ্পড় দেয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর