শিরোনাম
শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গরুর ছাঁট মাংসই যাদের ভরসা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

গরুর ছাঁট মাংসই যাদের ভরসা

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। বর্তমান দিনাজপুরের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের এ দাম স্বাভাবিক মনে হলেও নিম্নআয়ের মানুষের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো। তাদের কাছে গরুর মাংস পরিণত হয়েছে দুর্লভ ও অভিজাত খাবারে। অনেকে মাসেও একবার খেতে পারে না গোমাংস। তাই গরুর ছাট (উচ্ছিষ্ট) মাংসই ভরসা তাদের। দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে দেখা যাচ্ছে ছাট মাংস। দামে কম হওয়ায় গরুর মাংসের স্বাদ নিতে নিম্নআয়ের কিছু ক্রেতা ঝুঁকছে এই মাংস কিনতে। বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ হাট, পৌর হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ছাট মাংসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন কিছু দোকানি। ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে এ মাংস পাওয়া যায়। বীরগঞ্জ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী রবি মিয়া জানান, গরুর মাংস বিক্রির পর চর্বি, পর্দা, রগ, মাথার পাশের হাড়-মাংস, নাকের হাড়, ভুড়ির কুস্তাসহ উচ্ছিষ্ট অংশ একত্র করে- এগুলোই ছাঁট মাংস। গোলাপগঞ্জ হাটে ছাঁট মাংস বিক্রেতা শেখ আবদুল জব্বার জানান, পৌর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার কসাইর কাছ থেকে কেজি ২২০-২৪০ টাকা দরে সংগ্রহ করে ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। প্রতি হাটে ২০-২৫ কেজি ছাঁট মাংস বিক্রি হয়। এ মাংস কিনতে আসা অধিকাংশই নিম্নআয়ের মানুষ। ছাঁট মাংস ক্রেতা ভ্যানচালক সাফিয়ার জানান, ‘দিন আনি দিন খাই। কোনো দিন ৩০০, কোনো দিন ৪০০ টাকা আয় হয়। পরিবারে সদস্য পাঁচজন। মেয়ে জামাই বেড়াতে এসেছে। নাতি গরুর মাংস খেতে চেয়েছে কেনার সামর্থ্য নেই। তাই নাতিকে নিয়ে হাটে এসেছি কম দামে ছাঁট মাংস কিনতে।’ বীরগঞ্জ উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ফরিদ বিন ইসলাম জানান, উচ্ছিষ্ট মাংস খাওয়া যাবে না এমন নয়। তবে না খাওয়াই উত্তম। এই ছাঁট মাংস বিক্রি বন্ধে বিভিন্ন হাটে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর