শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

চার বছর আটকা পেনশন অর্থকষ্টে শিক্ষকের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

৩৫ বছর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন নজরুল ইসলাম। বছর চারেক আগে অবসরে যান। বাড়িতে স্ত্রী ও এক কন্যা গুরুতর অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। পেনশনের টাকার জন্য দিনের পর দিন ঘুরেছেন এক দফতর থেকে আরেক দফতরে। শেষ পর্যন্ত টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায়ই স্ত্রী তোহরা খাতুন বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেছেন।

নজরুল ইসলাম যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। এমপিওভুক্ত খানপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ছিলেন। অসুস্থ স্ত্রী ও কন্যাকে (২৬) নিয়ে আধাপাকা টিনের ছাপড়া ঘরে তার বসবাস। জটিল রোগে আক্রান্ত স্ত্রী তোহরার শরীরে পচন ধরেছিল। স্নাতক পাস কন্যা চার বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। অবসরে যাওয়ার পর থেকে সংসার চালাতে স্থানীয় একটি এনজিওতে ৩ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নেন। তা দিয়ে স্ত্রী-কন্যার চিকিৎসা দূরের কথা মাসের খাওয়ার ব্যবস্থায় হয় না। পেনশনের টাকা পেলে চিকিৎসা করাতে পারতেন এ আশায় দিনের পর দিন ছুটেছেন শিক্ষাতত্ত্ব ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে। কাজ হয়নি।

স্থানীয় বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ও খানপুর দাখিল মাদরাসার সভাপতি সবদুল হোসেন খান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। যশোর শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন জানান, বিষয়টা জেলা শিক্ষা অফিসের আওতায় না। মাদরাসার বিষয়গুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেখেন। বাঘারপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আশিকুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কিছু করার নেই। ঢাকায় কল্যাণ বোর্ডে আবেদন করতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর