রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

হাসপাতালে পাঠাগার

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

হাসপাতালে পাঠাগার

কুমিল্লা নগরীতে পাঠাগারের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেলুন, বাস টার্মিনালের পরে এবার হাসপাতালের রোগীর অপেক্ষার স্থানে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। আলোকিত বজ্রপুর নামের সামাজিক সংগঠন এ উদ্যোগ নেয়। নগরীর মেডিকমপ্লেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সৌহার্দ্য হাসপাতালে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থাপন করা হয় পাঠাগার।

সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বার। পরামর্শ নিতে রোগীরা চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ বুক সেলফে রাখা বই থেকে নিজের পছন্দেরটা নিয়ে পড়ছেন। পাঠক আশিকুর রহমান ও মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা চিকিৎসকের সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করি। সময় কাটতে চায় না। উৎকণ্ঠায় থাকি। এ সময় আলোকিত বজ্রপুরের বুক কর্নার থেকে বই নিয়ে সময় কাটাই। মেডিকমপ্লেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সৌহার্দ্য হাসপাতালের পরিচালক অ্যাডভোকেট তসলিমা বেগম বলেন, মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার যুগে বই পড়ানোর চেষ্টা ভালো উদ্যোগ। আমি আশা করি- আলোকিত বজ্রপুরের এ উদ্যোগ আরও সম্প্রসারণ করবে। ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন, কুমিল্লা শুধু ব্যাংক ও ট্যাংকের শহর নয়। কুমিল্লা পাঠাগারেরও শহর। প্রতি পাড়ায় পাঠাগার ছিল। এ শহরে উপমহাদেশ বিখ্যাত রামমালা পাঠাগার ও বীরচন্দ্র গণপাঠাগার রয়েছে। ছিল বসন্ত পাঠাগারসহ বিভিন্ন পাঠাগার। আলোকিত বজ্রপুর সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চায়। আলোকিত বজ্রপুরের প্রধান সমন্বয়কারী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ রানা চৌধুরী বলেন, আমরা মানুষের পাঠ অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। সেলুন, বাস টার্মিনালের পর হাসপাতালের রোগীর অপেক্ষার স্থানে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি- আমাদের দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসবেন। এ উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর