বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভরসাস্থল পুরনো বইয়ের দোকান

নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় বইয়ের জোগান দিচ্ছে

নীলফামারী প্রতিনিধি

ভরসাস্থল পুরনো বইয়ের দোকান

নীলফামারীর রাজারহাটে পুরাতন বইয়ের দোকান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক শিক্ষার্থী, বইয়ের পোকা, যারা চাইলেও নতুন বই কিনতে পারেন না তাদের ভরসাস্থল পুরনো বইয়ের দোকান। নতুন বইয়ের যে দাম, এসব দোকানে তার অর্ধেকের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়। নীলফামারীতে গড়ে উঠেছে এ রকম কয়েকটি পুরনো বইয়ের দোকান। হাজারো গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীর বইয়ের জোগান দিচ্ছে জেলা সদরের আনন্দবাবুর পুল, জলঢাকার রাজার হাট, সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে স্টেশন সড়কে গড়ে ওঠা কয়েকটি পুরনো বইয়ের দোকান। সরেজমিন দেখা যায়, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এসব লাইব্রেরিতে পছন্দের বই খুঁজতে ব্যস্ত। বইপ্রিয় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় বই কম দামে খরিদ করছেন।

লাইব্রেরিতে বই কিনতে আসা শিক্ষার্থী সারাবান তহুরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমি প্রতি সপ্তাহে দুই-একবার এখানে এসে পছন্দের বই নিয়ে যাই। অল্প টাকায় বই পাওয়া যায়। এতে টাকা সাশ্রয় হয়।

পুরনো বই বিক্রেতা নওশাদ আলী বলেন, তার লাইব্রেরিতে স্বল্প মূল্যে বই পাওয়া যায়। বেশিরভাগই গ্রামের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসেন। এখানে সব ধরনের বই পাওয়া যায়। আমরা নতুন বইয়ের অর্ধেকের চেয়েও কম দামে বিক্রি করি। অপর পুরনো বই বিক্রেতা আহমেদ আলী বলেন, কম দামে বই শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে। এতে তারা যেমন খুশি আমরাও খুশি। মূলত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই এসব সংগ্রহ করা হয়। শিক্ষার্থী বা বিভিন্ন পেশার মানুষ বাসায় আর কাজে না লাগা বই বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন আমাদের কাছে। সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও কথাসাহিত্যিক হাফিজুর রহমান বলেন, জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় এসব বই পুরনো লাইব্রেরিতে খুব অল্প দামে পাওয়া যাচ্ছে। এটা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সর্বশেষ খবর