ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজী হত্যারহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে তাকে হত্যা করা হয়। গতকাল নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওই হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া মো. মিজানুর রহমান (৫১) নামে একজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে নির্বাচনি কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ফুয়াদ কাজীকে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর জানিয়েছে, ফুয়াদ কাজী হত্যার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম হাওলাদার তাদের ভাড়া করেন। ওই হত্যায় তারা দুজন অংশ নেয়। তার সহযোগী ফুয়াদ কাজীর কোমর জাপটে ধরে। সে কোপাতে থাকে। এ সময় তার সহযোগীর হাতও জখম হয়। পরে সে বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
ওসি জানান, এর আগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নলছিটি থানা পুলিশ চুক্তিতে হত্যায় অংশ নেওয়া মিজানুর হাওলাদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ওসি মো. মুরাদ আলী জানান, ওই হত্যায় অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
