সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ সেতুতে চলাচল

► পাটাতনে গর্ত ► খুলে গেছে নাট ► ঘটছে দুর্ঘটনা

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

জরাজীর্ণ সেতুতে চলাচল

ঝিনাইদহের শৈলকুপার স্টিলের তৈরি একটি সেতু পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মরিচা ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে সেতুর পাটাতন। ভেঙে গেছে নিচের লোহার পাত। অনেক স্থানে খুলে গেছে নাট-বল্টু। বেশির ভাগ স্থান দেবে গেছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত জরাজীর্ণ এ সেতু দিয়েই চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। জানা যায়, ১৯৯৫ সালে গাড়াগঞ্জ-কুমারখালী সড়কে কুমার নদের ওপর ১১২ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণ করা হয়। তখন সড়ক ও জনপথের (সওজ) অধীনে থাকলেও বর্তমানে সেতুটি এলজিইডির আওতাধীন। নদী পারাপারের একমাত্র সেতুটি কয়েকবছর ধরেই চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যে মেরামত করলেও কিছুদিন পর আবার ফিরছে আগের অবস্থায়। গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা আহত হচ্ছেন অনেকে। বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, স্টিলের এই সেতু দিয়ে গাড়াগঞ্জ থেকে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। মাঝখান থেকে লোহার পাত ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি চললে দেবে যাচ্ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই গ্রামের নাদির শেখ বলেন, সেতুর মাঝখানে হওয়া গর্তে পড়ে প্রায়ই মানুষের হাত-পা কেটে যাচ্ছে। আটকে যাচ্ছে সাইকেলের চাকা। প্রায় এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই সড়কে চলাচলকারী আলম উদ্দিন নামে একজন করিমন চালক বলেন, আমরা তো ভয়ে ভয়ে ব্রিজটি পার হচ্ছি। মাঝখানে ব্রিজের নিচের লোহার পাত ভেঙে গেছে। যে কারণে গাড়ি নিয়ে এলে ওই অংশে পাত নিচু হয়ে যাচ্ছে। যে কোনো সময় পাত ভেঙে নদীতে পড়লে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তখন প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে। পারভেজ হোসেন নামের এক গাড়িচালক বলেন, যখনই ব্রিজের মাঝখানে গাড়ি যায় তখনই পাত নিচু হয়ে যাচ্ছে। কখন যানি ভেঙে যায় এ ভয়ে সবাই পারাপার হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণ করা হোক। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপাতত নতুন কোনো সেতু ওখানে নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে চলাচলের উপযোগী করার জন্য পুরাতনটি আমরা মেরামত করছি। আগামীতেও এ মেরামত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ খবর