মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা

সৈয়দপুর শহর তলিয়ে যায় ২-৩ ফুট পানিতে, চরম দুর্ভোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি

বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা

বৃষ্টি হলেই সৈয়দপুর পৌরসভার পাড়ামহল্লায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগ ও কষ্টে পড়ছে পৌরবাসী। বিশেষ করে মুন্সিপাড়া, নতুন বাবুপাড়া, পুরান বাবুপাড়া, বাঁশবাড়ী, মিস্ত্রিপাড়া, বাঙালিপুর নিজপাড়া ও নিচু এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সেখানকার বাসিন্দারা। শহরের প্রধান রাস্তা শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক হাঁটুপানিতে ডুবে থাকছে। সামান্য বৃষ্টিপাতেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পৌর কাউন্সিলর বলেন, সৈয়দপুর পৌরশহরে দূষিত পানি নিষ্কাশনের নালাগুলোয় পলিথিনসহ নানা কিছু আটকে থাকে। পরিষ্কারও করা হয় না মাসের পর মাস। ফলে পানি তাৎক্ষণিক নামে না। এ ছাড়া পৌরসভার রেলওয়ে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার নালা-নর্দমা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হয় পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে মাত্র ১ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই সৈয়দপুর শহর তলিয়ে যায় ২-৩ ফুট পানিতে।

স্থানীয় বাসিন্দা আতিয়ার রহমান বলেন, বৃষ্টি হলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ নূর মোহাম্মদ স্ট্রিটের দুই পাশের মানুষ, মুন্সিপাড়া, বাঁশবাড়ীর সাদরা লেন এলাকাসহ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শত শত পরিবার। শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েন। বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা। বৃষ্টির পানি নালা-নর্দমা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আউটলেট সুবিধা নেই। তাই সামান্য বৃষ্টিতে ড্রেনের পানি উপচে ঢুকে যায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ঘরে ঘরে। বেশ কিছু সড়ক মেরামত না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি মেয়রের কাছে পৌরবাসীর সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন।

শহরের বাঙালিপুর নিজপাড়ার আলতাব হোসেন বলেন, বর্ষাকালে হাজারো পরিবারকে পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয়। বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলরের কাছে আমরা একটি মাস্টার ড্রেনের জন্য বহুবার ধরনা দিয়েছি। প্রতিবারই তিনি সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেনের পানি উপচে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। নির্বাচনের সময় মেয়র ফল মার্কেটর সড়কসহ সৈয়দপুরকে মডেল শহরে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের নিজস্ব টিম আছে। কিন্তু মাস্টার ড্রেন নির্মাণ বা সংস্কার করতে বাজেট ঘাটতি রয়েছে। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছুই সম্ভব হয়নি।’ এ ব্যাপারে জানতে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে জলাবদ্ধতা নিয়ে কোনো কথাই বলবেন না বলে জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর