বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গলা কেটে হত্যা গৃহবধূকে

রক্তাক্ত ছুরি হাতে যুবক আটক

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

আশুলিয়ায় সুমাইয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। হত্যার পর রক্তাক্ত ছুরি নিয়ে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩২) নামে ওই যুবক। পরে র‌্যাব এসে তাকে আটক করে। গতকাল আশুলিয়ার ভাদাইল তালতলা এলাকার সোহাগ মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

র‌্যাব-৪ সিপিসি-২-এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে আটক করা হয়েছে। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

সুমাইয়া আক্তার রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার মাসুদ রানার স্ত্রী। এ দম্পতির আড়াই বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তারা তিনজনই ওই বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বাস করে আসছিলেন। নিহতের স্বামী মাসুদ রানা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি একই বাসায় পাশের রুমেই ভাড়া থাকতেন। তিনিও পেশায় পোশাক শ্রমিক।

বাড়ির মালিকের স্ত্রী আয়েশা জানান, সুমাইয়ার মেয়ের কান্না শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন হাতে রক্ত মাখানো ছুরি হাতেই ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে শহিদুল ইসলাম।

ওই রুমে গিয়ে দেখি সুমাইয়াকে চাকু দিয়ে গলা কাটা হয়েছে। অন্য ভাড়াটিয়া সবুজের স্ত্রী মেরিনা বলেন, শহিদুল আমাকে বলছিল, ভাবি মারিয়ামকে (সুমাইয়ার মেয়ে) সামলান, মারিয়ামের মা আর নেই।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, এক বছর ধরে একই বাসায় পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকার সুবাদে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে বিদ্যুতের পরিচয়। সুমাইয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল বিদ্যুৎ। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ধারালো ছুরি দিয়ে সুমাইয়ার গলায় আঘাত করে সে। এতে অচেতন হয়ে পড়লে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

আশুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফ এম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর