শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঘরে ঢুকে কিশোরী ধর্ষণ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বারের বিরুদ্ধে মাদরাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার আবদুল হক (৪২) ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও যুবলীগের সভাপতি। সে একই গ্রামের জ্বীনবাড়ির তাবারক উল্লাহর ছেলে। এদিকে অভিযুক্তকে চেয়ারম্যানের কথা বলে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিষয়টি আলোচনায় আসে। স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার দিবাগত রাতে ওই মেয়ের মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মেম্বার আবদুল হক ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে মেম্বার আবদুল হককে আটক করে রাখে। পরদিন সকালে জনৈক সাইফুল ইসলাম লোকজন নিয়ে এসে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কথা বলে তাকে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে যায়। এ নিয়ে রবিবার চেয়ারম্যান শামীমের বাড়িতে শালিস বসে। এ সময় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মেয়েটির জবানবন্দির পর চেয়ারম্যান শামিম ধর্ষণের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মেয়েটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে অভিযুক্ত মেম্বার আবদুল হক ও ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে এলাকায় নানা গুঞ্জন উঠেছে।

এ ঘটনায় বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত আবদুল হক মেম্বারের ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম বলেন, ঘটনার পরদিন উভয় পক্ষ আমাদের বাড়িতে আসে। বিস্তারিত জেনে তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলি। ঘটনা তদন্ত করে ইউপি সদস্যকেও যুবলীগের পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করি। এ ছাড়া আমার লোকজন তাকে নিয়ে আসার অভিযোগ সঠিক নয়।

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লাকসাম থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তার পরও বিষয়টির খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর