শিরোনাম
শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গুদামে ধান দিতে অনীহা

শেরপুর ও ফেনী প্রতিনিধি

শেরপুরে চলছে বোর ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান। মিল মালিকদের থেকে পর্যাপ্ত চাল পেলেও সরকারি কঠিন শর্ত মেনে গুদামে ধান দিতে কৃষকের আগ্রহ কম। তবে সরকার প্রতি মণ ধানের মূল্য ১ হাজার ২৮০ টাকা নির্ধারণ করায় বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। এর সুফল পরোক্ষভাবে কৃষক পাচ্ছে জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ। সরকারি শর্তমতে গুদামে ধান দিলে আর্দ্রতা থাকতে হবে কমপক্ষে শতকরা ১৪, সর্বোচ্চ ১ হাজার ধানে চিটা ও বিজাতীয় পদার্থের পরিমাণ হতে হবে পাঁচটি, অপুষ্ট ও বিনিষ্ঠ ধান শতকরা দুটি, ভিন্ন ধানের মিশ্রণ শতকরা আটটি। কৃষক জানিয়েছে, এসব কঠিন শর্তের কারণে গুদামে ধান দেওয়া খুবই জটিল এবং ঝামেলার।খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শেরপুরে গত ৭ মে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। জেলার পাঁচ উপজেলায় মোট ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন। লটারিতে বিজয়ী ৩ হাজার ৪৫৫ কৃষক ৩ টন করে ধান সরকারকে সরবরাহ করার কথা। সবশেষ ২৫ জুন পর্যন্ত ধান পাওয়া গেছে ২ হাজার ২৫ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার শতকরা ২৩ দশমিক ৪০ ভাগ। সূত্র আরও জানান, প্রথম দিকে বাজারে ধানের দাম কিছুটা কম থাকায় কিছু কৃষক সরকারকে দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন কোনো কোনো গুদামে দিনে দু-এক জন কৃষক ধান নিয়ে আসে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘কৃষক হয়রানি জিরো টলারেন্স থাকবে। ধান সংগ্রহে খাদ্য বিভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।’

এদিকে ফেনীর পরশুরামে ধান সংগ্রহ অভিযান অনেকটাই ব্যর্থ। অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ধানও সংগ্রহ করতে পারেননি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দাম আর বাজারদর কাছাকাছি হওয়া, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা নেওয়াসহ নানা জটিলতার কারণে কৃষক খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী নয়।

জানা যায়, পরশুরাম উপজেলায় এবার বোরো ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮৭ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ১২৬ মেট্রিক টন কেনা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ২৮০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।

৭ মে শুরু হওয়া অভিযান শেষ হবে ৩১ আগস্ট। কৃষকের অভিযোগ, গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে নানা হয়রানি ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। ব্যাংক থেকে টাকা নিলে ঋণের টাকা কেটে রাখে। দীর্ঘদিন গুদামের বাইরে ফেলে রাখে ধান। গুদামের শ্রমিকদের প্রতি মণে বাড়তি ২০ টাকা দিতে হয়। এসব কারণে সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারাচ্ছে তারা।

উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জানান, কৃষককে তেমন কোনো হয়রানি করা হয় না। বরং আর্দ্রতার দিক থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া হয়। তবু কৃষক খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহী নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর