লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় গবাদিপশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ। গত ১৫ দিনে এ রোগে আক্রান্ত ৪০টি গরু মারা গেছে জানিয়েছেন কৃষকরা। তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এখন পর্যন্ত ৩০-৩৫টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, মূলত এক প্রকার পক্স ভাইরাস বা এলএসডি ভাইরাসের সংক্রমণে গবাদিপশুতে এই রোগ দেখা দেয়। আক্রান্ত গরুর চামড়ার উপরিভাগে শরীরজুড়ে গোটা সৃষ্টি হয়। সাধারণত বর্ষা শেষে শরতের শুরুতে অথবা বসন্তের শুরুতে মশা-মাছির কামড়ে এই রোগ গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এবার লালমনিরহাটে দেখা দিয়েছে গ্রীষ্মের শেষ দিকে। কালিগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে। আমার কাছে প্রতিদিন খবর আসছে। ওই ইউনিয়নের শিয়াল খোওয়া গ্রামের মোতালেব, কামাল ও বাবলুর রহমান বলেন, এ রোগে তাদের এলাকায় ১০-১৫ দিনে সাতটি গরু মারা গেছে। চিকিৎসা করে কোনো লাভ হচ্ছে না। অসংখ্য গরু আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা খোঁজখবর নিচ্ছেন না। চলাবলার নিথক এলাকায় গিয়ে ময়নাল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে তিনটি লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর দেখা গেছে। গরুর শরীরের ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে তিনি বলেন, দুই দিনেই এত বড় ক্ষত হয়েছে। গায়ের মাংস পচে পড়ে যাচ্ছে। তার দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে বান্দেরকুড়া গ্রামের আলতাব ও কাশেমের বাড়িতে গিয়ে লাম্পি স্কিন আক্রান্ত গরু পাওয়া যায়। কাকিনা পাঁচমাথা এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক মাস ধরে দুটি গরুর এই রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা করেও ভালো হচ্ছে না।