শিরোনাম
সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
ফের নদনদীর পানি বৃদ্ধি

তিন জেলায় বন্যার শঙ্কা

প্রতিদিন ডেস্ক

তিন জেলায় বন্যার শঙ্কা

কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি বসতবাড়ি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জে আবারও বাড়ছে নদনদীর পানি। লালমনিরহাটে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২ হাজার পরিবার। কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জে ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- লালমনিরহাট : তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিস্তা চরাঞ্চলের ২ হাজার পরিবার। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দোয়ানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে গতকাল সকাল ৮টার দিকে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার কাছাকাছি দেখা গেছে। এর আগে  ভোর ৬টায় এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতেই পানি আরও বাড়ে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার বিকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। রাতের মধ্যে পানিপ্রবাহ আরও বেড়ে রবিবার ভোর ৬টা থেকে একই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৮টায় বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই ছিল। কুড়িগ্রাম :  কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সবকটি নদনদীর পানি আবার দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে গতকাল থেকে তিস্তার পানি অনেকটা বেড়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যান্য নদনদীর পানিও বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে এখন বিপৎদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচে ও ধরলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়া নদী অববাহিকার মানুষ রয়েছেন দ্বিতীয় দফা বন্যার শঙ্কায়। ঢাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাত দিয়ে কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানান, উত্তরাঞ্চলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব নদনদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে।

সুনামগঞ্জ : জেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন নদী আর ছড়া দিয়ে গতকাল প্রবল বেগে ঢুকছে ঢলের পানি। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতকের সীমান্তবর্তী এলাকায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এখনো             সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর পানি। সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর