মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

থামছেই না নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

মাগুরায় ২০টি সংঘর্ষে আহত ৫০০ বাড়িছাড়া ২ হাজার মানুষ

মাগুরা প্রতিনিধি

থামছেই না নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

মাগুরার চার উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থামছেই না। সবশেষ রবিবার সন্ধ্যা ও গতকাল সকালে সদর উপজেলার কালুখালী গ্রামে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে একাধিক বাড়িঘর। এ নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থন দেওয়া নিয়ে পরস্পরবিরোধী গ্রুপের অন্তত ২০টি সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় সদর উপজেলায় একজন নিহতসহ ৫ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ২ শতাধিক লোক। কালুখালী গ্রামের আবুল কালামসহ কয়েকজন জানান, সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমির ওসমান (বিজয়ী) এবং প্রচার সম্পাদক শেখ রেজাউল ইসলাম (পরাজিত প্রার্থী) সমর্থকদের মধ্যে সবশেষ এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা জানান, নির্বাচনের পর থেকে দুইপক্ষে উত্তেজনা চলছে। রবিবার শত্রুজিৎপুর বাজারে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হেলিকপ্টার সমর্থক কামাল শেখকে ইট দিয়ে আঘাত করে তার ভাগ্নে আবদুর রশিদ। তখন উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এর জেরে মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থকরা সোমবার ভোরে হেলিকপ্টার সমর্থক ওদুল, ধলু, কালাম ও আজাদের বাড়ি ভাঙচুর করেন। তাদের বাধা দিলে ধলু শেখের স্ত্রী আলেয়া বেগম, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পরিচালক মনির ও পলাশ আহত হন। মাগুরা সদর থানার ওসি মেহেদী রাসেল জানান, কালুখালী গ্রামে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। নির্বাচন কেন্দ্র করে মারামারি ও এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির কারণে যারা বাড়িছাড়া রয়েছে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেছি। আমার জানা মতে সদর উপজেলায় বসবাসরতরা বাড়ি ফিরেছে। যদি কেউ না ফেলে শিগগিরই চলে আসবে। আমাদের পুলিশ বাহিনী এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে।

 

সর্বশেষ খবর