বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্কুল মাঠ দখল করে ব্লক ব্যবসা

খেলাধুলা বন্ধ বিপাকে খুদে শিক্ষার্থীরা

জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

স্কুল মাঠ দখল করে ব্লক ব্যবসা

হবিগঞ্জে বিদ্যালয় মাঠে পাথরের ব্লক তৈরির ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলছে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের মাঠ বেদখল থাকায় খেলাধুলা করতে পারছে না ওই স্কুলের কোমলমতি খুদে শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধা গ্রস্তের পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞজনেরা। শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মধ্যে এ কারণে বিরাজ করছে ক্ষোভ। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঠিকাদারকে স্কুল মাঠ থেকে পাথরের ব্লকগুলো সরিয়ে নিতে বললেও তিনি কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ। তিনি কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। স্থানীয়রা জানান, ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশপাশের কয়েকটি গ্রামের একমাত্র শিক্ষাঙ্গন। বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে দূর-দূরান্তের শিশুরা এসে লেখাপড়া করে। লোখপড়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের একমাত্র মাঠটিতে তাদের খেলাধুলাও করার কথা। যা তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে খুবই জরুরি। বেশ কয়েক মাস ধরে ওই বিদ্যালয়ের পুরো মাঠ দখল করে ওই ঠিকাদার ব্লক তৈরির কাজ করে আসছেন। মাঠে জায়গা না থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে, তারা খেলাধুলা করতে পারছে না। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জানান, অভিযুক্ত ঠিকাদার হারুনুর রশীদ হারুন ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি। যে কারণে তিনি প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের মাঠ দখল করে এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার বিষয়টি তিনি আমলেই নিচ্ছেন না। খুদে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ বেদখল থাকায় শিক্ষার্থীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক বলেন, ঠিকাদার হারুনুর রশীদ হারুনকে একাধিকবার বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে ব্লকগুলো সরিয়ে অন্য স্থানে তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। অভিযুক্ত ঠিকাদার হারুনুর রশীদ হারুন বলেন, আমি স্কুলের মাঠ দখল করিনি। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জন্য তৈরি করা কিছু ব্লক ওইখানে রেখেছিলাম। আমি দ্রুত সেখান থেকে ব্লকগুলো সরিয়ে নেব। ইউপি চেয়ারম্যান মো. বুলবুল খান জানান, ঠিকাদারকে বলে এসেছি যাতে তিনি ব্লকগুলো সরিয়ে নেন। ইউএনও ফারজানা আক্তার মিতা জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর