শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

পদ্মা-যমুনায় ভাঙন

♦ বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ফসলি জমি ♦ মানিকগঞ্জে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

পদ্মা-যমুনায় ভাঙন

মানিকগঞ্জে যমুনা নদী ভাঙন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পদ্মা-যমুনার তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। শিবালয়ের যমুনার নদীর পাড় ও চরাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তেওতা ইউনিয়নের আলোকদিয়া, মধ্যনগর, ত্রিশুন্ডি ও চর বৈষ্টমীর এলাকার লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। চরম হুমকির মুখে রয়েছেন তেওতা ইউনিয়নের গাঙধাইল এলাকার মানুষ। কয়েকদিনেই ওই এলাকায় অনেক জায়গা  নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে কাঞ্চনপুর, আন্দার মানিক, রামকৃষ্ণপুরসহ বিভিন্ন এলাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি এবং কমার সময় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পদ্মা ও  যমুনা নদী পারের অনেক এলাকা। যমুনা নদী ভাঙন রোধে ভুক্তভোগী গ্রাম ও চরাঞ্চলবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে আবেদন করা হয়েছে।

সরেজমিন  দেখা যায়, মানিকগঞ্জের  শিবালয় উপজেলার  তেওতা ইউনিয়নের গাঙধাইল গ্রামের যমুনা নদী পারের বাড়ি-ঘর এবং ফসলি জমি বিগত বর্ষা থেকেই তীব্র নদী ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে। আলোকদিয়া চরাঞ্চলও একই অবস্থা। বর্ষায় নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।  দিন যতই যাচ্ছে নদী ভাঙনের তীব্রতা ততই বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা বাঁশ ও বন দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এতে তেমন সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেন, পূর্ব পুরুষের ভিটাবাড়ি, জায়গা জমি সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ভাবতে ভিতরটা কেমন জানি করে।  শুষ্ক মৌসুমে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার ফলে পদ্মা যমুনার এই অবস্থা। হরিরামপুরের  আন্দারমানিক এলাকার পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গনরোধে কাজ করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ যে ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে তা একেবাড়েই নিম্নমানের। নদী থেকে মাটি বালি তুলে বস্তায় ভরে ফেলা হচ্ছে। এতে কোনো কাজ হবে না। হরিরামপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন,  প্রতি বছর হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। এবারো কাঞ্চনপুর, আন্দার মানিক ও রামকৃষ্ণপুরে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দায়সারা ভাবে  কিছু এলাকায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন কর্তপক্ষ। এতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুমে পদ্মা ও যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা জরুরিভাবে ঠিকাদারের মাধ্যমে সে সব স্থানে ভাঙন রোধে কাজ করছি। জরুরি কাজে ব্যবহৃত জিও ব্যাগ ও বালু অন্য সময়ের কাজের সঙ্গে মিলবে না। জরুরি কাজের বাজেট কম থাকায় স্থানীয় বালু ও ভিন্ন জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর