শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

শরণখোলায় দারোগার জবরদস্তি ঘরছাড়া প্রবাসী পরিবার

জমি নিয়ে বিরোধ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল দুই পক্ষে। সে বিরোধ মেটাতে এগিয়ে যান শরণখোলার তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিটন। তার অ্যাকশনে একটি প্রবাসী পরিবার ১৫ দিন ধরে ঘরছাড়া। অভিযোগ উঠেছে, লিটন ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বের করে দিয়ে বসতঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ জুন সকালে সাউথখালী ইউনিয়নের বগী গ্রামে। হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করেও দারোগা লিটনের মন গলাতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। আষাঢ়ের ভারী বর্ষণের মধ্যেও ঘরে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না তাদের। সেই থেকে ১৫ দিন ধরে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য প্রবাসী রাজ্জাক হাওলাদারের স্ত্রী সুখী বেগম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির কাছে লিটনের অনাচারের প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন। সুখী বেগম বৃহস্পতিবার শরণখোলা প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, ২০১৫ সালে তারা ১ লাখ টাকায় বকুলতলা গ্রামের সামসুর রহমান ও তার স্ত্রী মাসুরা বেগমের কাছ থেকে সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি কেনেন। বায়না চুক্তির মাধ্যমে বিক্রেতা জমির দখল বুঝিয়ে দেন। পরে সুযোগমতো জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা এবং চুক্তিনামায়ও তা উল্লেখ রয়েছে। সুখী বেগমরা ওই জমিতে পুকুর কেটে গাছপালা রোপণ করেন এবং ঘর তুলে প্রায় নয় বছর ধরে বসবাস করছেন। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে এসআই লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। তাই শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে তিনি ওদের ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।

এ সুযোগে অন্য দাতা তার স্ত্রী মাসুরা বেগম জমি বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। সুখী বেগম বলেন, দাতা মাসুরা বেগম ১৯ জুন সকালে দারোগা লিটনকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসেন। লিটন মাসুরা বেগমের পক্ষ নিয়ে দুটি শিশু সন্তানসহ আমার বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরছাড়া করেন। ঘরে তালা দিয়ে তার চাবি দেলোয়ার হোসেন বয়াতী নামে এক প্রতিবেশীর কাছে জমা রেখে চলে যান লিটন ও মাসুরা বেগম।

সর্বশেষ খবর