শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

আশরাফ বাহিনীর নেতার মাথায় কাদের ছাতা

শিবগঞ্জের ‘নয়ালাভাঙ্গার আতঙ্ক’ এখন পলাতক। জোড়া খুনের মামলায় পুলিশ তাকে খুঁজছে। তার নিষ্ঠুরতার কাহিনি মানুষের মুখে মুখে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নে আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত ওই সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হককে বলা হয় আশরাফ বাহিনীর নায়ক। তাকে পুলিশ খুঁজছে। এখন আশরাফ বাহিনীর অত্যাচার-নিষ্ঠুরতার নানা কাহিনি মানুষের মুখে মুখে। প্রশ্ন উঠেছে- ১৯৮৯ সাল থেকে অবিরাম সন্ত্রাস চালিয়ে যাওয়া এ বাহিনীর নায়কের বেপরোয়া হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মাথার ছাতা হিসেবে কারা কাজ করছেন। এলাকাবাসী বলছেন, ১২টি বিস্ফোরক আইনের, দুটি হত্যা, তিনটি ছিনতাই, দুটি প্রতারণা, একটি মাদক, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোসহ ২১ মামলার আসামি হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের একাংশের ছত্রছায়ায় নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নে মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন বিএনপি নেতা আশরাফুল হক আশরাফ। গত তিন দশকে অসংখ্য হত্যাকান্ডে নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন তিনি। তার বাহিনীর সদস্যরা কৃষিকাজ ও শ্রমিকের আড়ালে মানুষ খুন ও এলাকায় সন্ত্রাস টিকিয়ে রেখেছে। তার পথের কাঁটা বা প্রতিপক্ষ যে-ই হয়েছে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পৃথিবী থেকে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি আশরাফ চেয়ারম্যান নামে অধিক পরিচিত। একসময় আশরাফুল হক উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সে সময় নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। কিন্তু এখন নিজের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে তার সখ্য বেশি। তাদের সুপারিশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত কোটি টাকার ঠিকাদারিও বাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ২৭ জুন রাতে অতর্কিত হামলায় খুন হন সালাম ও তার সঙ্গের স্কুলশিক্ষক আবদুল মতিন। এ হত্যা ঘটনায় আশরাফকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুন। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কতিপয় নেতার সহায়তায় লুকিয়ে রয়েছেন আশরাফ চেয়ারম্যান। তবে তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সর্বশেষ খবর