শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ২০ বছরেও

নওগাঁয় সামান্য বৃষ্টিতেই বেহাল সড়ক - দুর্ভোগে দুই উপজেলায় হাজারো বাসিন্দা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ২০ বছরেও

নওগাঁ মহাদেবপুরে সামান্য বৃষ্টিতেই বেহাল সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নওগাঁর পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাটাবাড়ি মোড় হতে বিলছাড়া স্কুল মাঠ পর্যন্ত রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এ রাস্তা নির্মাণের ২০ বছর পেরিয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি এত বেহাল হয় যে, হেঁটে চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এখানে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় কেউ অসুস্থ হলে। গাড়ি চলাচল করতে না পারায় অসুস্থদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার কোনো উপায় থাকে না। এখনো ইট-পাথরের ছোঁয়া লাগেনি এ সড়কে। আশপাশের সব গ্রামীণ সড়ক পাকা হলেও অজানা কারণে এ রাস্তার উন্নয়ন হয়নি। খরা মৌসুমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় ভোগান্তি চরমে। দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী দুটি ইউনিয়নের ৮/১০টি গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ রাস্তা দিয়ে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাগ্রহীতাসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় কাদা এত বেশি হয় যে, অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারে না। এতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার উন্নয়ন চান ওই এলাকার বাসিন্দারা।  স্থানীয়রা জানায়, রাস্তাটি পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলা শহরে যাতায়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর বেহাল দশার কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। হেঁটে চলাই মুশকিল হয়ে পড়ে। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। দূরদূরান্ত থেকে রাতে কেউ এ অঞ্চলে আসতে পারে না। ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বিখ্যাত এ অঞ্চলের কৃষকদের খেতে উৎপাদন করা কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাদের খরচ অনেক বেশি হয়। তারা কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। বিলছাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হারুন অর রশিদ বলেন, এ অঞ্চলে আমরা যারা বাস করি তারা স্বাধীন ভূমিতে থেকেও আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। বর্ষা মৌসুমে এ পথ দিয়ে চলাচল করতে কী পরিমাণ ভোগান্তি পোহাতে হয় তা আমরা ছাড়া কেউ বুঝবে না। পদ্মপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ইসরাফিল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা অনেক প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়নি। রাস্তায় চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তি বলেন,  বিলছাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জাহেদ, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সীমাসহ অনেক শিক্ষার্থী জানায়, বর্ষার সময় এ রাস্তায় যেতে খুব কষ্ট হয়। কাদার মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে পারি না। পা আটকে যায়। কাদার মধ্যে বইয়ের ব্যাগ পড়ে যায়। মহাদেবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সৈকত দাস বলেন, ওই রাস্তার জন্য কাগজপত্র নওগাঁ পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে টেন্ডার হবে। পত্নীতলা উপজেলা         প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল বলেন, ওই রাস্তাটা সামনে টেন্ডারে যাবে। প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, প্রকল্প অনুমোদন হলে আমাদের সাইটটা কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর