শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম দাবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম দাবি

পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম দাবিতে কুষ্টিয়া মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের দাবিতে গতকাল ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। দিয়েছেন স্মারকলিপি। তাদের দাবি, হাসপাতালের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, হচ্ছে ভোগান্তি। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। গত ডিসেম্বরে হাসপাতালটির বহির্বিভাগ চালু হলেও আবাসিকের কার্যক্রম চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

 এ অবস্থায় বিভিন্ন বর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজপ্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। সেখানে ‘অনিয়ম দূর করো, হাসপাতাল চালু করো’, ‘স্বাস্থ্যসেবা রক্ষায় হাসপাতাল চালু চাই’, ‘হাসপাতাল চালু হোক, শিক্ষা গ্রহণ সুষ্ঠু হোক’ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি ক্লিনিক্যাল ক্লাস। তার জন্য প্রয়োজন হাসপাতাল। কলেজে হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকা সত্ত্বেও কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হয়নি। ক্লাস করতে যেতে হচ্ছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে যেতে যেমন সময় ও অর্থের ক্ষতি হচ্ছে, তেমন সেখানে ক্লাস করার মতো পরিবেশও নেই। শিক্ষার্থীরা বলেন, নতুন ক্যাম্পাসে এসেছি, কিন্তু আমাদের দুর্গতি শেষ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সাত মাস আগে হাসপাতালটির উদ্বোধন করলেও এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি। তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালটি চালু না হওয়ার পেছনে অসংখ্য দুর্নীতি। বড় বড় বাজেট এলেও কাজের কাজ হচ্ছে না। হাসপাতালের জন্য কেনা যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই অচিরেই দুর্নীতিগুলো বন্ধ হোক, হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হোক। চালু হলে আশপাশের মানুষও চিকিৎসা পাবেন, শিক্ষার্থীরা পাবেন শিক্ষার পরিবেশ।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস করতে যেতে হয় ২ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে যাওয়ার জন্য একটি বাস বরাদ্দ ছিল। সেটিও দুই মাস ধরে বন্ধ চালকের অভাবে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি শুনেছি। ওদের একটি বাস ছিল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। বাসটি বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে যেতে হচ্ছে, তাই ওরা আন্দোলনে নেমেছে। এখন আমাদের হাসপাতালটি চালু হলে ওদের আর কষ্ট করে যেতে হবে না।’

হাসপাতাল চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আংশিক বহির্বিভাগ চালু হয়েছে। ইনডোরের কার্যক্রম শুরু করতে আমরা প্রশাসনের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। অনুমোদন পেলে শিগগিরই হাসপাতালটি চালুর উদ্যোগ নিতে পারব। তা ছাড়া একটি বড় নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজও এখনো বাকি। সেগুলো শেষ করেই হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা সম্ভব হবে।’

সর্বশেষ খবর