শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

জামাইকে ফাঁসাতে মামলা, এবার আসামি হলেন শ্বশুর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

জামাই বিদ্যা মিয়াকে (৩৭) ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে মেয়েকে পাচারের পর হত্যা ও লাশ গুমের কথিত মামলা করে ফেঁসে গেলেন শ্বশুর। এ মামলার তদন্তে নেমে নেত্রকোনা পিবিআই উদ্ধার করেছে পালিয়ে থাকা মেয়ে লিয়া আক্তারকে (২৭)। সেই সঙ্গে মেয়েকে লুকিয়ে রেখে আদালতে মিথ্যা মামলা করায় বাদী আবদুল খালেকসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ঘটনাটি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার তুরাগের ধউর এলাকায় একটি বাসা থেকে লিয়াকে উদ্ধার করা হয়।

সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন লিয়া। পরে জামাই দাবি হয়ে শ্বশুর, শাশুড়ি ও খালা শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরে বিদ্যা মিয়া আদালতের নির্দেশে শ্বশুর আবদুল খালেক, শাশুড়ি রোকেয়া আক্তার (৫৭) ও খালাশাশুড়ি আঙ্গুরাকে (৫০) আসামি করে কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন।

পিবিআই, পুলিশ, ভিকটিম ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের চন্দলাড়া গ্রামের লিয়ার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে বিদ্যা মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ১৮ এপ্রিল লিয়া স্বামীর বাড়ি সন্তান রেখে উধাও হয়ে যান। এ ঘটনায় আবদুল খালেক বাদী হয়ে মেয়েকে পাচারের পর হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে ২৩ এপ্রিল আদালতে বিদ্যা মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মামলার দায়িত্ব নেত্রকোনা পিবিআইকে দেন। তারা তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হন এটি সাজানো মামলা। অভিযান চালিয়ে তুরাগ থেকে উদ্ধার করেন লিয়াকে।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে কথিত ভিকটিমকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ খবর