শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফেনীতে ছেলেহারা মায়ের সঙ্গে আসামি পক্ষের প্রতারণা

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তিন মাসেও মিলছে না

জমির বেগ, ফেনী

জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়ায় যুবক নুর মোহাম্মদ হত্যার মামলাটি ধামাচাপা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নুরকে হত্যা করা হয় ১৪ এপ্রিল। কিন্তু তিন মাসেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিলছে না। এদিকে, মূল আসামি মাঈন উদ্দিন জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে মুক্ত বাতাসে ঘুরছেন।

অভিযোগ উঠেছে, মামলা উঠিয়ে নিলে ১০ লাখ টাকা পাবে-এ ওয়াদা করা হলে নুরের মা আপস করেন। কিন্তু আসামিপক্ষ ছেলেহারা মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করে। তাকে দেওয়া হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। মামলার বাদী সম্প্রতি বলেছিলেন, হত্যা ঘটনার পর থেকে তাদের আসামিপক্ষ নানা ধরনের হুমকিধমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কারসাজি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশ সাত আসামির মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করে। ব্যাংক কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিনের বাড়িতে ১৪ এপ্রিল মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নুর মোহাম্মদকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্ডারচর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে ছাগলনাইয়ার বাথানিয়া গ্রামে মাঈন উদ্দিনের বাড়িতে মাসে ২ হাজার টাকা বেতনে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হয়। গত ২৭ রমজান ব্যাংক কর্মকর্তার বাসা থেকে টাকাভর্তি একটি খাম নিয়ে নুর বাড়ি চলে যান। এর পর থেকে মুঠোফোনে মাঈন উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা টাকা ফেরত দিতে হুমকি দিতে থাকেন। ১৪ এপ্রিল মা বিবি খাতিজা ছেলে নুরকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে যান ও চুরি করে নেওয়া টাকা ফেরত দেন। এ সময় মাঈন উদ্দিন আরও বেশি টাকা ছিল দাবি করে বিবি খাতিজাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আসামিরা দুই দিন ও দুই রাত ধরে দফায় দফায় নুরকে পেটান। এক পর্যায়ে নুর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নুরের মা খাতিজা বলেন, ‘বাবারে, আমাদের মামলা চালানোর কোনো লোক নাই। টাকাপয়সা নাই। তা ছাড়া ছেলে তো মারা গেছে। মামলা রেখে লাভ কী? ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম জানান, মামলা ডিবিতে চলে গেছে এক মাস আগে। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সিদীপ কুমার দাশ জানান, তদন্ত চলছে।

সর্বশেষ খবর