সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগ

১৪ মাসে ১২ নেতা-কর্মী খুন

একের পর এক হত্যাকান্ড তৃণমূলে আতঙ্ক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক বছর দুই মাসের (১৪ মাস) ব্যবধানে খুন হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১২ জন নেতা-কর্মী। দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে একপক্ষের নেতা-কর্মীরা হত্যা করছেন আরেক পক্ষের নেতা-কর্মীদের। এ নিয়ে জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল হত্যা করা হয় জেলা যুবলীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে। এরপর পর্যায়ক্রমে খুন হন আওয়ামী লীগের আরও ১১ নেতা-কর্মী। সবশেষ গত ২৭ জুন ককটেল হামলা, গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবদুস সালাম এবং তার সহযোগী আবদুল মতিনকে। এই জোড়া হত্যাকান্ড নিয়ে স্বজনরা অভিযোগ করেন, এর আগেও সালামকে হত্যার জন্য তার গাড়িতে ককটেল হামলা চালানো হয়। সে সময় সালাম বেঁচে গেলেও ২৭ জুন হত্যাকারীরা সফল হয়। হত্যা করা হয় সালাম ও তার বন্ধু আবদুল মতিন মাস্টারকে। পুলিশ সঠিক ভূমিকা পালন করলে অকালে প্রাণ দিতে হতো না সালামকে এই অভিযোগ তার পরিবারের সদস্যদের। একের পর এক দলীয় নেতা-কর্মী হত্যা প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের এমপি আবদুল ওদুদ বলেন, জেলায় আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণে একের পর এক খুন হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এখন পর্যন্ত ১২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হত্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতকেও। তিনি দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু দৃষ্টি কামনা করেন। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুজ্জামান বলেন, প্রতিটি খুনের পরই আসামি গ্রেপ্তারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের একাংশ দলে বিভাজন সৃষ্টি করে রেখে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ খবর