পাহাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেন কেউ বাদ নেই। ডায়রিয়ার সঙ্গে আছে জ্বর, কাশি, রক্ত বমিও। এ রোগীর সংখ্যা রাঙামাটি জেলা সদরের চেয়ে উপজেলায় বেশি। বিশেষ করে বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু উপজেলায়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে ঘোলা হয়ে গেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। নানা প্রকার জিবাণুতে ভরে গেছে ছড়া, ঝরনার পানি। এই পানি পান করে নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পাহাড়বাসী। তবে রোগের চিকিৎসা দিতে মাঠে কাজ করছে স্বাস্থ্য কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে রাঙামাটিতে। একই সঙ্গে নামছে উজানি পাহাড়ি ঢল। ভেসে আসছে নানা আবর্জনা, মানুষের মল। মিশে যাচ্ছে হ্রদের পানিতে। এ পানি হ্রদ তীরবর্তীবাসী ব্যবহার করে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে। সম্প্রতি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম বেটলিং মৌজার তিনটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া ও জ্বর। এতে করে অরুণ পাড়া, তারুম পাড়া ও নিউথাংনাং পাড়ায় শতাধিক মানুষ ডায়রিয়া-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, এলাকাটি খুবই দুর্গম। সেখানে কোনো বিশুদ্ধ পানির উৎস নেই। ছড়া ও ঝরনা থেকে ওই সব এলাকার মানুষ পানি সংগ্রহ করে পান করনে। ব্যবহার করেন। বর্ষার বৃষ্টির কারণে জিবাণু যুক্ত হয়ে গেছে ছড়া, ঝরনার পানি। তাই ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা যায়। দুর্গম হওয়ার কারণে মেডিকেল দল পাঠানো না গেলেও স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবক দল চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আরএমও ডাক্তার মো. সওকত আকবর জানান, রাঙামাটিতে অসময়ে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। ৬ থেকে ১০ বছর আর বৃদ্ধ বেশি আক্রান্ত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পানি ব্যবহারের কারণে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা একেবারেই শূন্য।