বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্যার ক্ষত কৃষিতে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বন্যার ক্ষত কৃষিতে

ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা। কুড়িগ্রামের পাইকেরভিটা থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষিতে। বন্যার পানিতে নিজেদের ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হলেও ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা হাহাকার করছেন। সাধারণ কৃষকের জন্য চাষাবাদ এখন ঋণের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি নিয়মকানুনের বেড়াজালে সাধারণ কৃষক প্রণোদনার বাইরেই থেকে যান। ফলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তার পরও পরিবারের সদস্যদের কথা বিবেচনায় রেখে এসব কৃষককে ধারদেনা করে নতুন করে উদ্যোগ নিতে হয়। চলতি বছর ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে ১৫ দিন ধরে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। এর ফলে জমিতে রোপণকৃত রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধান, পাট, শাকসবজি, মরিচ, তিল, চিনা, কাউন, কলা, আখ, আদা, হলুদ সম্পূর্ণ তলিয়ে গিয়ে বিনষ্ট হয়। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণর বিভাগ জানায়, এ বছর ৩৮ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়। তার মধ্যে বন্যাকালীন এলাকায় অবস্থিত ৪ হাজার ৯৮৯ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায়। এতে ৬ হাজার ৩৩৪ জন কৃষকের ১০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়। সরকারিভাবে কিছু প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হলেও সাধারণ অনেক কৃষককে থাকতে হয় এ সুবিধার বাইরে। সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের নয়ানীপাড়ার শশীকান্তের স্ত্রী সুনতী রানী (৪৮) জানান, এক বিঘা জমির ধান দিয়ে দুজনের পেট পূরণ করতে হয়। এবার ১ হাজার টাকা খরচ করে ৩ শতক জমিতে বীজতলা লাগিয়েছি। বন্যায় সব শেষ। আমরা কখনো সরকারি সুবিধা পাই না। একই গ্রামের শ্যামল চন্দ্র জানান, প্রতিবছর আমাদের এখানে প্রায় ৪ একর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বন্যায় এবার ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়। তবে পুরোপুরি ক্ষতি হবে না। তবে আমরা বন্যায় ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ৪০০ কৃষককে আমন বীজ প্রদান করেছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর