শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

অধিগ্রহণে আটকা নির্মাণকাজ

বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

অধিগ্রহণে আটকা নির্মাণকাজ

ছয় বছর আগে প্রকল্প অনুমোদন হলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ। বারবার সময় বাড়ালেও কাজের নেই অগ্রগতি। প্রকল্পের কাজ না এগুলেও ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে ২৬ কোটি টাকা। জানা যায়, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। সময় মতো কাজ শুরু করতে না পারায় সময় বাড়ানো হয় আরও এক বছর। বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়েছে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণই সম্পন্ন করা যায়নি। বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো শহীদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বগুড়া অংশের চার উপজেলায় ৫৯টি মৌজায় জমি অধিগ্রহণের নোটিস পাঠানো হয়। এখনো এ কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ অংশে ৪৬০ একর জমির মধ্যে তিন উপজেলায় ১২টি মৌজায় জমি অধিগ্রহণ করা হবে। গত ১৮ এপ্রিল অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত নোটিস জমি মালিকদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো আবদুস সালাম বলেন, এসব ধীরগতির কাজ। সময় একটু বেশি লাগবে। চেষ্টা চলছে জমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার।

শাজাহানপুর উপজেলার রানিরহাট এলাকার শহিদুল ইসলাম জানান, রানীরহাট ও বিরাহিমপুর এলাকায় নির্ধারিত জমিগুলো ধানি। এসব জমিতে তিন ফসল আবাদ হয়। এলাকার লোকজন এ পথে রেললাইন যাওয়ার কথা শুনলেও কোনো অগ্রগতি দেখেনি। শুধু জমির আইলের ধারে সীমানা পিলার দেখা যাচ্ছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কাজ যথাসময়ে শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিক কারণেই বাড়বে মেয়াদ। সব মিলে ব্যয় বেড়ে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে। প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী জানান, জমি অধিগ্রহণসহ প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর রেললাইন স্থাপন শুরু করা যাবে। চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ এগিয়ে নেওয়ার। অধিগ্রহণ জটিল প্রক্রিয়া। শিগগিরই এ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন জানান, ভূমি-সংক্রান্ত কাজে বেশকিছু ধাপ ফলো করতে হয়। আমরা চেষ্টা করছি কাজ এগিয়ে নেওয়ার।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ বলেন, এখন ট্রেন যাত্রা উত্তরাঞ্চলবাসীর জন্য কষ্টের।

সর্বশেষ খবর