সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাঁশের ভেলাই ভরসা ছয় গ্রামের মানুষের

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বাঁশের ভেলাই ভরসা ছয় গ্রামের মানুষের

রশি টেনে বাঁশের ভেলায় ইটাখলা নদী পারাপার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইটাখলা নদীতে সেতু নেই। নেই সাঁকোর ব্যবস্থাও। ভেলায় চড়ে কিংবা সাঁতরে পার হতে হয় নদী। নদী পারাপারে গ্রামবাসীর চাঁদায় তৈরি বাঁশের ভেলাই একমাত্র ভরসা তাদের। বর্ষায় পানি বাড়লে পার হওয়ায় উপায় থাকে না স্রোতের কারণে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের ছয় গ্রামের হাজার হাজার মানুষের। সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের কিশোরপুর ও খালিশাপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা ইটাখলা নদী। নদীতে সেতু না থাকায় পারাপারে বাঁশের ভেলা ও গুণটানা নৌকা ব্যবহার করছেন স্থানীয় দুস্তপুর, গাজীরকুল, বুুরহানপুর, উলুকান্দি, কিশোরপুর ও খালিশাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। একই আকারের ২৬টি বাঁশ সমান করে বসিয়ে বাঁধা হয়েছে অনেকগুলো ছিপ দিয়ে। ছিপের মধ্যে প্রায় ৫ ইঞ্চি পরপর শক্ত করে বাঁধা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের ফালি ও পাটের দড়ি। ভেলার দুই পাশে বাঁধা দীর্ঘ মজবুত পাটের রশি। দুই দিকে রশি টেনে ভেলা নিয়ে যাওয়া হয় এপার থেকে ওপারে। নদীতে এরকম ভেলা দেখা যায় দুটি। অপর পাশে আছে গুণটানা নৌকাও। রশি টেনে নৌকায় পার হতে হয় এপার-ওপার। কিশোরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইরন মিয়া জানান, প্রতি বছর গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে আমরা একেকটি বাঁশের ভেলা তৈরি করে নদী পারাপারের কাজে ব্যবহার করে থাকি। ভেলায় করে রশি টানের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে এপার-ওপার দিনরাত আসা-যাওয়া করি আমরা। এখানে একটি সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহান মিয়া জানান, মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এর আগে ইটাখলা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি জ্ঞাত নই। খোঁজ নিয়ে জেনে দেখছি। প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থমকে যাওয়ার কারণ তিনিই (স্থানীয় মেম্বার) ভালো বলতে পারবেন।’

সর্বশেষ খবর