মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফোর লেন কাজ শেষ হয়নি ৬ বছরেও

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

ফোর লেন কাজ শেষ হয়নি ৬ বছরেও

কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। দুই বছরে এ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। তা শেষ হয়নি ছয় বছরেও। প্রকল্পটির কাজ চলছে কচ্ছপগতিতে। ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণ কাজের ৮ কিলোমিটার এখনো বাকি রয়েছে। এই ৮ কিলোমিটারে প্রতিনিয়ত যানজটে আটকা পড়ছেন মানুষ। ঘটছে দুর্ঘটনা।  লাকসামের চন্দনা, লাকসাম বাইপাস, লালমাই উপজেলার শানিচৌঁ ও বাগমারা বাজার অংশের ফোর লেনের কাজ  আটকে আছে মামলা ও ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লা ও অন্যান্য সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার সড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণের কাজ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জুনে শেষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। ২০২৪ সালের প্রথম দিকে এসে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে সড়ক বিভাগ। বিশেষ করে মামলা জটিলতা ও ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে। সূত্র আরও জানায়, নোয়াখালী থেকে লাকসামের চন্দনা পর্যন্ত কাজ শেষ। চন্দনা বাজার অংশে প্রায় এক কিলোমিটার কাজ বাকি। লাকসাম বাইপাস এলাকা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা রয়েছে। বাগমারা বাজারে কাজ থমকে আছে। শানিচৌঁ এলাকার এক কিলোমিটার আটকে আছে মামলা জটিলতায়। যাত্রী ও পরিবহন চালকরা জানান, লাকসাম বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারায় কাজ শেষ না হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে পাঁচ ঘণ্টা। ফোর লেন থেকে দুই লেনে এসে সড়ক সরু হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলার যাত্রীরা। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারা দেশের মানুষ উপকার পাবেন। নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফোর লেনের নোয়াখালী অংশে মহাসড়কের পাশে অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাই সেখানে কাজের গতি এসেছে। লাকসাম ও বাগমারা অংশেও এমন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নতুবা এখানে যেভাবে গাড়ি আটকে তাকে তেমনি ফোর লেন প্রকল্পও আটকে থাকবে। লাকসাম বাইপাসের ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও বাগমারা বাজারে প্রতিদিনই যানজট হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরাসহ পরিবহন মালিক, যাত্রী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এখানে দ্রুত কাজ শেষ করা করা প্রয়োজন।

উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক অধ্যাপক কবির আহমেদ বলেন, যানজটের কারণে যাত্রীরা বিরক্ত। এ ছাড়া সরু সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের (বাস মালিক সমিতি) সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিধিরা সুদৃষ্টি দিলে দ্রুত কাজ শেষ হবে। এতে চালক, যাত্রী সবার দুর্ভোগ কমবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, কাজের প্রায় ৯৯ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আট কিলোমিটার এলাকার কাজ শেষ করা যায়নি। বাগমারা বাজার এলাকায় মূল সড়কের সঙ্গে ফের লেন হবে। ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

লাকসাম বাইপাসে বড় ভবন রয়েছে, তাই বিকল্প স্থান নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে। শানিচৌঁ এলাকায় মামলা রয়েছে। চন্দনা এলাকার কাজও শুরু করা হবে। আশা করছি আমরা পুরো কাজ দ্রুত শেষ করতে পারব।

সর্বশেষ খবর