কোটা আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারে। কমে গেছে আমের বেচাকেনা। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ বাজারে পাঠানো যাচ্ছে না আম। ফলে দামও কমে গেছে। অন্যদিকে দাম নিম্নমুখী হওয়ায় জেলার বাজারগুলোয় আম সরবরাহ কমেছে। দেশের বৃহৎ কানসাট আমবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই আম বাজারে প্রতি মণ ফজলি বিক্রি হচ্ছে ২৬০০-২৮০০ টাকা, বারি-৪ ১৮০০ থেকে ৩৫০০ টাকা, আম্রপালি ২২০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা এবং আশ্বিনা ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা দরে। লেখাপড়ার পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে অনলাইনে আম বিক্রি করা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বাসিন্দা সাব্বির হোসেন বলেন, তিনি কোনো ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে আম বেচাকেনা বন্ধ রেখেছেন। সাব্বির বলেন, মঙ্গলবার ঢাকা-কুমিল্লাসহ দূরবর্তী জেলায় প্রায় ১০০ কেজি আম কুরিয়ারের মাধ্যমে গেছে। কিন্তু বুধবার থেকে অনলাইনে আমের অর্ডার পাইনি বললেই চলে। আন্দোলনের প্রভাবে আম বেচাকেনা একেবারই কমে গেছে। কুরিয়ার সর্ভিসের এজেন্ট সেফার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কোনো কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি আম নিয়ে ছেড়ে যায়নি। গোমস্তাপুরের রহনপুর ও ভোলাহাটের আম বাজারেরও একই চিত্র। আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, প্রতি মণ আমে ৫০০-৭০০ টাকা কম দাম পাচ্ছেন চাষিরা। ট্র্রাক ও পিকআপের মালিকরা ক্ষতির আশঙ্কায় তাদের যানবাহন ভাড়া দিচ্ছে না।