মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভোগান্তিতে বিদ্যুতের প্রি-পেইড গ্রাহক

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ভোগান্তিতে বিদ্যুতের প্রি-পেইড গ্রাহক

ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় খুলনায় ভোগান্তি পড়েছে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকরা। বিকল্প উপায়ে রিচার্জ করতে না পেরে বিদ্যুৎ অফিসে গেলেও নানাভাবে তাদের হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকরা বলছেন, বিদ্যুৎ অফিসে রিচার্জের বুথ সংখ্যা কম থাকায় ধীরগতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগে রিচার্জ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে প্রি-পেইড মিটারের গ্রাহকদের ইমারজেন্সি লোন ১ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হলেও খুলনায় চালু করা হয়নি। বিকল্প উপায়ে রিচার্জ করলেও গ্রাহকের মোবাইলে টোকেন নম্বরও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে টোকেন সংগ্রহের জন্য পুনরায় তাদের বিদ্যুৎ অফিসে যেতে হচ্ছে। গতকাল নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে ওজোপাডিকোর অফিসে গেলে গ্রাহকের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। অফিসের নিচতলায় পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা সারি থাকলেও একটি মাত্র বুথ থেকে রিচার্জ করা হয়। পরে গ্রাহকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে তড়িঘড়ি আরও তিনটি কক্ষে রিচার্জের ব্যবস্থা করা হয়।

হাজি মুহসীন রোডের বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানান, রিচার্জের ধীরগতিতে গত দুই দিনে আড়াই হাজারের বেশি গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েন। আগে থেকে তথ্য না দিয়ে ইমারজেন্সি লোন নিতে মিটার মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র, আবেদনসহ নানান তথ্য দিতে বলা হয়। এতে ভোগান্তি তৈরি হয়। গতকাল শেখপাড়া স্টাফকোয়ার্টার ওজোপাডিকো অফিসে গেলে দেখা যায়, দুপুর ২টায় তারা রিচার্জ বন্ধ করে দিয়েছেন। অফিসের প্রধান ফটক থেকেই গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভিতরে ঢুকে কারণ জানতে চাইলে রিচার্জের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা বলেন, গ্রাহক না থাকায় তারা রিচার্জ করা বন্ধ করেছেন। এ সময় বাইরে অপেক্ষমাণ গ্রাহকের কথা জানালে পুনরায় তাদের ঢুকতে দিয়ে রিচার্জ কার্যক্রম চালু করা হয়।

কলেজ শিক্ষক ইয়াসীন হোসেন জানান, বিদ্যুৎ অফিসের গেট বন্ধ করার পর সামনে দোকানের লোকজন প্রতি হাজারে ১০০ টাকা নিয়ে রিচার্জ করে দেবেন বলে টাকা সংগ্রহ করেন। ওজোপাডিকোর সহকারী প্রকৌশলী সুস্ময় শর্মা জানান, গ্রাহকের ভোগান্তি কমানোর জন্য একাধিক কক্ষে রিচার্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে হঠাৎই একসঙ্গে এত গ্রাহক আসায় পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর