বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

দৃষ্টিনন্দন ধর্মপুর বনাঞ্চল

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দৃষ্টিনন্দন ধর্মপুর বনাঞ্চল

দৃষ্টিনন্দন, নিরিবিলি গাছ-গাছালির এক মোহনীয় প্রকৃতির নয়নাভিরাম বিরলের ধর্মপুর বনাঞ্চল। যা দর্শনার্থী, পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ। এ বনবিট হতে পারে সরকারের রাজস্ব আয়ের উৎস। শুধু দরকার বাস্তবমুখী পরিকল্পনা ও পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। সীমান্ত ঘেঁষা দিনাজপুরের বিরলের ধর্মপুর বনবিটে গড়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রও। প্রায় ২৮০০ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠা এ বনে রয়েছে রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি জাতীয় আগর বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। আছে বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি। অনেকে পিকনিক করার জন্য এখানে আসে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে বেশি জনসমাগম ঘটে।

দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ১৬ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে বিরল উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা ধর্মপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ধর্মপুর বনবিট। আরও একটি যাওয়ার রাস্তা রয়েছে সদর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা দিয়ে। এখানে ভ্রমণ পিপাসুদের থাকার জন্য রয়েছে একটি ডাকবাংলো। দিনাজপুর শহর থেকে আধা ঘণ্টায় বাস, মাইক্রোবাস, টেম্পু, অটোরিকশায় পৌঁছা যায়। বনবিটে পাকা রাস্তার দুই ধারে সারি সারি শালগাছ নজর কাড়বে সবার। শালবনের ভিতরে গড়ে উঠা আগর ও বাঁশবেত বাগান ছাড়াও কিছু গাছের আঁকা-বাঁকাভাবে বেড়ে উঠা হয়ে উঠেছে আরও দর্শনীয়ও। ধর্মপুর কালিয়াগঞ্জ বনবিটের উপকারভোগী ফয়জুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, দিনাজপুর সামাজিক বনবিভাগ ২০০৭-০৮ অর্থবছরে পরীক্ষামূলক শুরু করে ‘আগর’ বাগান। এ আগরের নির্যাস প্রকারভেদে প্রতি লিটার ৩-৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয় জেনেছি।

দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের ফরেস্টার মহসিন আলী জানান, এ বনবিটে একটা ছোট ডাকবাংলো রয়েছে। রপ্তানিযোগ্য ও লাভজনক উৎকৃষ্ট বা সুগন্ধি বিশিষ্ট কাঠ জাতীয় আগর গাছের পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে। আগর গাছের পরিপক্বতা আসতে আরও দুই বছর লাগবে। এরপর বিক্রি পর্যায়ে যাবে।

 

সর্বশেষ খবর