বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

নয় বছর পর জানলেন নিয়োগটি ছিল ভুয়া

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

নয় বছর মাদরাসার গ্রন্থাগারিক পদে চাকরি করার পর জানতে পারেন তার নিয়োগটি ছিল ভুয়া। চাকরি জীবনে তিনি বেতন হিসেবে পাননি একটি টাকাও। নানা অজুহাত দেখিয়ে বেতন দেওয়া হয়নি। বেতন পাবেন এমন আশায় দিনের পর দিন কাজ করে গেছেন ওবায়দুর রহমান নামে ওই ব্যক্তি। নিয়োগের সময়ে ঘুষ হিসেবে দিয়েছিলেন ৫ লাখ টাকা। চাকরি হারিয়ে বর্তমানে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রশিবপুরা দাখিল মাদরাসা। ২০১৩ সালে মাদরাসায় গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়- যা হয়েছে সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে। একটি নিয়োগ কমিটি দেখানো হলেও নেওয়া হয়নি কোনো পরীক্ষা। কমিটিতে থাকা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা এবং ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে যাদের দেখানো হয়েছে তারা জানেনই না নিয়োগের খবর। তাদের স্বাক্ষর জাল করা হয় এ নিয়োগে। গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পাওয়া ওবায়দুর রহমান জানান, পরীক্ষা ছাড়াই তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালে তিনি জানতে পারেন নিয়োগটি ভুয়া ছিল। দীর্ঘদিন চাকরি করলেও বেতন দেওয়া হয়নি তাকে। ভুয়া নিয়োগের বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্নজনের কাছে ধরনা দিয়েও প্রতিকার পাননি। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, এ নিয়োগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সভাপতি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেছেন তিনি করেছেন। তৎকালীন সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই অশিক্ষিত। স্বাক্ষরও দিতে জানি না। ইউএনও বি এম কুদরত-এ-খুদা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।

সর্বশেষ খবর