বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

মালদহ নদীর ভয়াবহ ভাঙন

সীমান্তবর্তী হাজারো ঘরবাড়ি সড়ক বিলীনের পথে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

মালদহ নদীর ভয়াবহ ভাঙন

লালমনিরহাটে মালদহ নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মালদহ নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে উপজেলার মালগাড়া, বগুড়াপাড়া এলাকায় ১০টি বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। নদীর ভাঙনে বলাইরহাট-লোহাকুচীর একমাত্র সংযোগ সড়কটিও বিলীনের পথে। এতে যানবাহন নিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে জেলা, উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে চন্দ্রপুর, গোড়ল, মদাতি ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের। ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ১০ হাজার পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ, মালদহর ভাঙনরোধে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা পরিদর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকছেন। ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। মালদহর ভাঙনের শিকার গোড়ল ইউনিয়নের বগুড়াপাড়ার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ৩২ শতাংশ জমিতে বাড়ি ছিল। কয়েকবছরের ভাঙনে বাড়ি ও আমার ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে রাস্তায় রয়েছি। সে রাস্তাটিও এখন ভাঙনের মুখে। একই এলাকার বাসিন্দা মোক্তার হোসেন বলেন, এবারের বন্যায় বলাইরহাট থেকে লোহাকুচী হয়ে লালমনিরহাট জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে বগুড়াপাড়ার ব্রিজটিতেও। চার দিনে ১০ বাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে। পথচারী তহিদুল ইসলাম বলেন, মালদা নদী ঘেঁষে থাকা সড়কটি দিয়ে দীর্ঘদিন যাতায়াত করছি। ভাঙনের কারণে এখন আর যাওয়া হচ্ছে না। প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, ভাঙন শুরু পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছে এবং ভাঙনরোধের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, কয়েক বছর ধরে ভাঙন চলছে। এবার তীব্র আকারে ভাঙছে মালদা। গত বছরও বলাইরহাট-লোহাকুচী সড়কটি নদী থেকে ৫০০ গজ দূরে ছিল। এবারের ভাঙনে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুমকিতে পড়েছে ব্রিজসহ ১০ হাজার বাড়িঘর। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা পরিদর্শন করেছে। আশা করি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, মালদার ভাঙনপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুতই ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় বলেন, মালদার ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর