শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে চরাঞ্চলে

মাগুরা প্রতিনিধি

বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে চরাঞ্চলে

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বাদাম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদামের দাম আগের থেকে অনেক বেশি। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর চরাঞ্চলে এ ফসলের চাষ বাড়ছে। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় এ বছর ৬২ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হেক্টর মহম্মদপুরে, বাকি দুই হেক্টর চাষ হয়েছে শ্রীপুর উপজেলাতে। কৃষি বিভাগ আরও জানিয়েছে, এ মৌসুমে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল উপজেলার মাধবপুর, চর মাধবপুর, গয়েশপুর, বাহিরচর এলাকায় আগে কোনো ফসল চাষ হতো না। এখানকার কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিয়ে এ বাদাম চাষে নিয়ে এসেছি। আগামীতে বাদাম চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষি অফিস আশা প্রকাশ করে। কৃষকরা জানান, আগে এ বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে আমরা কোনো ফসল চাষাবাদ করতাম না। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১০ থেকে ১২ বছর আমরা এ চরাঞ্চলে বাদামের চাষ করছি। বাদাম চাষে খরচ কম লাভ বেশি। বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে আমরা বাদাম বিক্রি করতে পারি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সময় এ চাষে আমাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়। আগামীতে বাদাম চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।’ কৃষি বিভাগ জানায়, প্রচণ্ড দাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে বাদামের ফলন কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। যেখানে বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ৯ মণ হওয়ার কথা সেখানে ৫ থেকে ৬ মণ করে গড় ফলন হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, চিনা বাদাম পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। মাগুরায় এ বছর খরিফ-১ মৌসুমে ৬৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬২ হেক্টর জমিতে চিনা বাদামের চাষ হয়েছে। যার মধ্যে মহম্মদপুর উপজেলাতেই চাষ হয়েছে ৬০ হেক্টর। চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল বারী-৫, ৮, ৯ ও বিনা-৪ জাতের বাদাম চাষ করেছে। তবে আশার কথা, বাজারে আগের থেকে বাদামের দাম অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর চরাঞ্চলে বাদাম চাষ বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর