শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সেতু না থাকায় ভোগান্তি

♦ নৌকায় পারাপার ♦ প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়া পৌরসভার দক্ষিণ দমদমা ও চৌগ্রাম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জলারবাতা-বড়িয়া খাল পারাপারে নেই কোনো সেতু। জলারবাতা থেকে পমবড়িয়া ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা থাকলেও সেতুর অভাবে প্রতি বছর বর্ষায় দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। বেশি ভোগান্তির শিকার হন স্থানীয় কাশফুল উলুম নেছারিয়া মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। পমবড়িয়ার রাস্তা পাকা না হওয়ায় বিলের ফসল তুলতে বিপাকে পড়তে হয় কৃষককে। রাস্তা পাকাকরণ ও সেতু নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগীদের।

জলারবাতা খালের পাশে ২০১৯ সালে স্থাপন করা হয় কাশফুল উলুম নেছারিয়া মাদরাসা। সম্প্রতি এটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ দূরদূরান্তের অনেক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছেন। শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছেন, খালে সেতু না থাকায় বর্ষার তিন-চার মাস খাল পারাপারে চরম বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, একটি মাত্র ডিঙিতে পারাপার হচ্ছে মানুষ। প্রবল বাতাসে নৌকাও ঠিকঠাক চলছে না। এ অবস্থায় নুরানি ক্লাসের অনেক শিক্ষার্থী মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শিক্ষককরা জানান, বানের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা মাদরাসায় আসা বন্ধ করে দেয়। প্রতি বছরই বর্ষার কয়েক মাস নুরানি ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। শাহাদত হোসেন ও খোরশেদা বেগম নামে দুজন অভিভাবক বলেন, ‘ভয়ে ছেলেমেয়েরা মাদরাসায় যায় না। আমরাও শঙ্কায় থাকি।’ স্থানীয় কৃষক ফরিদ, আমদ আলী ও আবুল কালাম জানান, প্রায় ৫ হাজার মানুষের উপজেলা সদরে অল্প সময়ে যাওয়া-আসার সহজ পথ এটি। এ ছাড়া বিলের মাঠ থেকে ফসল ঘরে তোলার জন্য রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক। রাস্তা পাকাকরণসহ খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি করেন তারা।

চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা বলেন, ‘পমবড়িয়া থেকে জলারবাতা কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণসহ সেতু হলে কৃষকের পাশাপাশি ছাত্র-শিক্ষকদের উপকার হবে।’ উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ রফিক বলেন, ‘রাস্তাসহ জলারবাতা খালে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় এমপি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা রয়েছে। চলনবিল নামে একটি প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির জন্য তালিকা করছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে চলনবিল প্রকল্পে সেতুসহ রাস্তার তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর