রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইছামতীতে সেতু হয়নি ৫৩ বছরেও

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ইছামতীতে সেতু হয়নি ৫৩ বছরেও

দিনাজপুরে জোত সাতনালা ও দক্ষিণ আলোকডিহি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ইছামতী নদী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও জোত সাতনালা ও দক্ষিণ আলোকডিহি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ইছামতী নদীর ফেকু বানিয়ার ঘাটে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। বারবার আশ্বাস দিলেও কিছুই হয়নি। দীর্ঘদিনেও এখানে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিদিন এলাকার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। নদীর দুই পাড়ে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ এখান দিয়ে চলাচল করে। সেখানে নদী পারাপারে স্থানীয়ভাবে করা হয় বাঁশের সাঁকো। ওই ঘাটে বাঁশের সাঁকোটি বারবার ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে এবার কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ কাঠের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এলাকাবাসী এ নদীর ওপর সেতু নির্মাণে জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি জানান। স্থানীয়রা জানান, চিরিরবন্দরের সাতনালা ইউপির জোত সাতনালা ও আলোকডিহি ইউপির দক্ষিণ আলোকডিহি গ্রামের মাঝে ফেকু বানিয়ার ঘাটে ইছামতী নদীর ওপর এ বছর বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল কুমার সাহার উদ্যোগে এবং এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। লোকজন ঝুঁকি নিয়ে এ কাঠের সাঁকোর ওপর দিয়েই চলাচল করছেন। আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষের এ কাঠের সাঁকোই এখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। সেতু নির্মাণে তাদের দাবি ৫২ বছরেও পূরণ হয়নি। জোত সাতনালা গ্রামের বানিয়াপাড়ার কৃষক ফেরদৌস আলী (৩৫), বৃদ্ধ ফয়েজউদ্দিন ফয়েজ (৬৮), পন্ডিতপাড়ার আইনুল হক (৪০) জানান, আমরা তো অবহেলিত। ভোটের সময় অনেকেই সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু ভোট চলে গেলেই সব ভুলে যান। আলোকডিহি ইউপির দক্ষিণ আলোকডিহি গ্রামের কিষ্টটহরির কৃষক আবদুস সালাম (৫৪) জানান, আমার বাপ-দাদারাও এ ঘাটে বাঁশের সাঁকো দিয়েই নদীর দুই পাড়ে যাতায়াত করেছেন। এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ বছর কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণ করা হলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হতো। চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ্ ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে স্কুল ও মাদরাসা রয়েছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ এই সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন। ভুক্তভোগী মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি। চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কুমার সাহা বলেন, আমি এলাকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্টের কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগতভাবে এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই স্থানে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছি।

সর্বশেষ খবর