শিরোনাম
বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

চিরচেনা যানজট ফিরেছে বগুড়ায়

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

চিরচেনা যানজট ফিরেছে বগুড়ায়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর চিরচেনা যানজটে প্রাণ ফিরেছে বগুড়ার। কোটা আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত থাকলেও প্রায় ২০ দিন পর প্রাণ ফিরেছে। গতকাল সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন। পাড়ায় পাড়ায় সাউন্ডবক্সে গান ও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায় ছাত্র-জনতাকে। জানা যায়, ১৬ জুলাই সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। দিনদিন সে আন্দোলন পরিবর্তিত হয়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। এরপর ১৮ জুলাই শুরু হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এ দিন থেকেই বগুড়ায় সহিংসতা তীব্র হতে থাকে। বিক্ষোভ মিছিল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগে প্রায় অচল হয়ে যায় বগুড়া শহর। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু হয় টানা কারফিউ। এ সময় শহরের দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধ রাখা হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ নয় দফা দাবি ঘোষণা করলে শেখ হাসিনার সরকার তাদের ওপর দমনপীড়ন ও গুলিবর্ষণ করে। এতে আহত ও নিহতের ঘটনায় সারা দেশের মতো বগুড়াও উত্তাল হয়। গত সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। কোটা আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত থাকলেও প্রায় ২০ দিন পর প্রাণ ফিরেছে বগুড়ার। আবারও যানজট শুরু হয়েছে শহরজুড়ে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলায় শহরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। প্রয়োজনীয় কাজ সারতে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। হুমড়ি খেয়ে পড়েন শহরে। সকাল থেকে বগুড়া শহরের ব্যস্ততম সাতমাথাসহ সবকটি সড়কে রিকশা-অটোরিকশা, ইজিবাইক আর ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। সাতমাথা, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, চাঁদনী বাজার, ফতেহ আলী মোড়, নবাববাড়ী সড়ক, ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনালের সামন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামন, পিটিআই মোড়, মফিজ পাগলার মোড়, ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে যানজটে পড়ে মানুষ। তবে এ যানজটে পড়লেও মানুষের তেমন অভিযোগ ছিল না। এদিকে বগুড়া শহরে কোনো ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় মোড়ে মোড়ে ছাত্রদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তারা যানজট নিরসনে কাজ করছেন। উল্লেখ্য, বগুড়া পৌরসভায় পায়ে চালিত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার রিকশার লাইসেন্স দেওয়া আছে। কিন্তু শহর এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের দখলে।

সর্বশেষ খবর