রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

শোক কাটছেই না রাব্বির পরিবারের

কোটা আন্দোলনে শহীদ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

শোক কাটছেই না রাব্বির পরিবারের

ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার আশায় শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন ইসমাইল হোসেন রাব্বি। ইঞ্জিনিয়ার হয়ে রিকশাচালক বাবার দুঃখ ঘোচাবেন এমন আশা ছিল। তার দুই বোন এবং ভাই তিনি একাই। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পরিবারের শোক কাটছেই না। ছেলের কথা মনে পড়লে ডুকরে কাঁদেন বাবা মিরাজ তালুকদার ও মা পারভীন। রাব্বির অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছে পরিবার ও স্থানীয়রা। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে রাব্বি শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেন। ১৯ জুলাই ঢাকার শাহাবাগ এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। গুলি তার কপালে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। লাশ রাখা হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সন্তানকে না পেয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল পরিবারটি। ৪ আগস্ট রাতে শুনতে পান রাব্বির লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। পরদিন লাশ মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের বাড়ি আনা হয়। পারিবারিক কবরে তাকে দাফন করা হয়েছে। ছেলে হারানোর শোক ভুলতে পারছে না পরিবার। স্থানীয়রা জানান, রাব্বি অনেক মেধাবী ছিল। যে পুলিশ তাকে গুলি করেছে তার বিচার এবং অসহায় এ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো জোর দাবি জানাই সরকারের কাছে। রাব্বির বাবা বলেন, কী অপরাধ ছিল আমার ছেলের। কেন তাকে হত্যা করা হলো? আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

সর্বশেষ খবর