বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন বুলবুল সরকার (৩৫)। তিনি বর্তমানে নিজ বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে শয্যাসায়ী। ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন বুলবুল। গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হাত-পা ভালো হবে নাকি পঙ্গু হয়ে সারা জীবন কাটাতে হবে এ চিন্তায় তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। খামার জয়দেবপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে বুলবুল। দুই ছেলের জনক। পেশায় রাজমিস্ত্রি। পরিবারের সদস্যদের মুখে একটু হাসি ও সংসারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতার জন্য রাজধানী ঢাকায় যান। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকায়। স্থানীয়রা ও পরিবার জানায়, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিল বের হলে তিনিও যোগ দেন। এসময় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে বুলবুলও গুলিবিদ্ধ হন।

ছাত্র-জনতা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে এএমজেড হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় তার ভাইয়ের সহায়তায় চিরিরবন্দরের খামার জয়দেবপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তিনি গুলির আঘাতের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গত ৮ আগস্ট দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবারও চিকিৎসা নেন। এখন তিনি নিজ বাড়িতে শয্যায় দিন কাটাচ্ছেন।