শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ

অরক্ষিত হাসপাতাল চত্বর, নিরাপত্তা সংকট

জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া

অরক্ষিত হাসপাতাল চত্বর, নিরাপত্তা সংকট

আউটসোর্সিং কর্মীরা কাজে না আসায় নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাস। ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ভবনসহ চত্বর অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আনসার সদস্য নিয়োগের জন্য চিঠি দিলেও তাদের বেতন কোন প্রতিষ্ঠান দেবে তা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। সরেজমিনে কুষ্টিয়া মেডিকেলের মূল গেটসংলগ্ন নিরাপত্তা কর্মী কক্ষটিতে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। সদ্য নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া হাসপাতাল চত্বরটিতে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার সাজ-সরঞ্জামসহ নানা ধরনের সরঞ্জামাদি ছড়িয়ে রয়েছে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল ভবনের চিকিৎসা ও অন্যান্য মালমাল চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তার জন্য ৭০ জন আনসার সদস্য নিয়োগ চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে পত্র দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় এসব আনসার সদস্যদের বেতন বাবদ অর্থ বরাদ্দসহ আনসার নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করলেই সংকট কেটে যাবে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফের ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা মেডিকেলে আউটসোর্সিংয়ে কর্মী নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার ঘনিষ্ঠ কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদের সভাপতি সাইফুদ্দৌলা তরুণ আউটসোর্সিংয়ে লোক নিয়োগ করেছিলেন। কুষ্টিয়া আনসার ভিডিপির সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট কাশেম আলী জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা আনসার ভিডিপির দপ্তরে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে আনসার নিয়োগের অনুরোধ করে পত্র দিয়েছে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এই টাকা আমাদের বরাদ্দ নেই। তাই আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে লিখে জানিয়েছি।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, এখানে আগে থেকেই আনসার নেই বা এ ব্যাপারে বরাদ্দ নেই। আমরা মন্ত্রণালয়কে আগেও আনসার নিয়োগের অনুরোধ করেছি।

অধ্যক্ষ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, এরই মধ্যে হাসপাতালের সামনে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে ছাত্রদের নিয়ে একটি নিরাপত্তা কমিটি করা হয়েছে। তারা দু-এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে।

২০১০ সালে যাত্রা শুরু হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের। তিন বছরের এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল দাঁড়িয়েছে ১৩ বছরে।

পৌনে ৩০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় গিয়ে ঠেকেছে ৭০০ কোটি টাকায়। ১০ মাস আগে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলেও ইনডোর চিকিৎসা আজও চালু হয়নি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর