বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাঁচ বছরেও প্রত্যাহার হয়নি ২১ নেতা-কর্মীর বহিষ্কারাদেশ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় বিএনপিসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ২১ জন নেতা-কর্মীর বহিষ্কারাদেশ পাঁচ বছরেও প্রত্যাহার হয়নি। বিএনপির রাজনীতিতে শক্তিশালী পরিচিত মুখ বলে যে কোনো ঘটনা ঘটলেই এদের আসামি করে মামলা ঠুকে দিত পুলিশ। এখন তারা মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরলেও নেওয়া হচ্ছে না দলে। এ ২১ জনের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার। জানা যায়, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম এবং ফজলুল বারী তালুকদার বেলালকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ২০১৯ সালের ১৫ মে বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। ২০২০ সালের ১৬ মে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং তিনজন পৌর কাউন্সিলরসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৭ নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া অব্যাহতি দেওয়া হয় আরও নেতা-কর্মীকে। এর এক পর্যায়ে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমুকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। ওই সময়ে জেলা যুবদলের সভাপতি সিপার আল বখতিয়ার সৌদি আরবে ছিলেন। তিনি দেশে ফিরলে ২৩ মে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ এনে বগুড়া জেলা যুবদলের কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। সিপার আল বখতিয়ার বলেন, যাদের কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা বিগত দিনে রাজপথে ছিলেন না। এখনো নেই। শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ নিয়ে বিএনপির জন্য আমাকে মাঠে নামতে হয়। আমি তারেক রহমানের সৈনিক। যতদিন বাঁচব তাঁর দলই করব।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারা দেশের নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর রাখেন। তিনি তাঁর নিজের জেলা বগুড়াকে নিজেই দেখাশুনা করেন। তিনি যা ভালো মনে করেন, যা বোঝেন তাই করবেন। তবে বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীদের বিষয়ে তিনি এখনো কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর