শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

২৬টি অস্ত্রের এখনো হদিস মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার ১২ থানার কার্যক্রম শুরু হলেও গতি ফেরেনি এখনো। শুধু কয়েক ঘণ্টা চালু রাখা হয়েছে থানার কার্যক্রম। এদিকে বগুড়া সদর থানা থেকে লুট হওয়া ৩৭টি অস্ত্রের মধ্যে ১১টি উদ্ধার হলেও বাকি ২৬টি অস্ত্রের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ বলছে, লুট হওয়া আরও ২৬টি অস্ত্র শিগগিরই উদ্ধার করা হবে। জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন বিকালেই বগুড়া সদর থানা, সার্কেল অফিস, ট্রাফিক পুলিশ বক্স, সদর পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শত শত গাড়ি। গণবিক্ষোভের মুখে থানা রেখে নিরাপদে চলে যায় পুলিশ। থানা মোড়ের এ স্থানটিতে এখনো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের কাজ চলছে। আগুনে পুড়ে যায় অনেক মামলার নথি এবং অবকাঠামো। গতকাল বাদ জুমা প্রধান ফটকের সামনে দেখা যায় বেশ কয়েকজন আনসার সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে থানা কম্পাউন্ডে পুড়ে কঙ্কাল হওয়া চারটি পুলিশ ভ্যান, পড়ে আছে বেশ কিছু পোড়া মোটরসাইকেল। এদিকে গত ৫ আগস্টের ঘটনায় বগুড়া সদর থানার ৩৭টি অস্ত্র লুট হওয়ার ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে মাত্র ১১টি। এর মধ্যে বগুড়া সান্দারপট্টি থেকে ৫টি, চেলোপাড়া থেকে ৩টি ও অজ্ঞাত স্থান থেকে ৩টি উদ্ধার করে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ২৬টি অস্ত্র এখনো উদ্ধা হয়নি। এ কারণে বগুড়াজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বগুড়াবাসী বলছেন, অস্ত্রগুলো উদ্ধার না হলে অপরাধীরা যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। গণবিক্ষোভের সময় শেরপুর থানায় আক্রমণ হলেও ভাঙচুর কিংবা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেনি। তবু এ থানায় কাজকর্মে গতি আসেনি। গত বৃহস্পতিবার সেখানে জিডি করতে আসেন হাফিজা বেগম নামে এক নারী। ডিউটি অফিসারের কক্ষে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও জিডি করতে পারেননি। পুলিশের পক্ষ থেকে পুরোপুরি থানার কার্যক্রম শুরুর দাবি করা হলেও গতি না ফেরার চিত্র দেখা যায় এ থানায়ও।

সর্বশেষ খবর