শিরোনাম
শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাজার সিন্ডিকেট উধাও, কমছে নিত্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি-সিন্ডিকেট না থাকায় বগুড়ায় নিত্যপণ্যের দাম কমছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে বাজার থেকে উধাও সিন্ডিকেট। দিতে হচ্ছে না পরিবহন চাঁদা। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এদিকে কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। ফলে ন্যায্যমূল্যও পাচ্ছেন তারা। বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি কমেছে ৫ থেকে ৭ টাকা। জানা যায়, বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি বাজার, খান্দার বাজারসহ খুচরা বাজারে ছাত্ররা তদারকি শুরু করায় সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম আগের চেয়ে কমেছে। উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ সবজিহাট মহাস্থান গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক সরাসরি নির্ধারিত দরে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছেন। আগে হাটে সিন্ডিকেট দালাল চক্র কম দামে তাদের সবজি বিক্রি করতে বাধ্য করত। এখন আর সে চিত্র নেই। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা কিনতে পারার কারণে প্রতিটি সবজিই ৫ থেকে ৭ টাকা কেজিতে কম কিনতে পারছেন। এ ছাড়া স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পরিবহনব্যবস্থা। ফলে এ অঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্য সরবরাহ বেড়ে গেছে। সাধারণ ব্যবসায়ী ও কৃষক জানান, ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সরবরাহ কমে যাওয়ার প্রভাবে যেসব সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, তা আবারও কমতে শুরু করেছে। এখন পণ্য নিয়ে সিন্ডিকেট নেই। পরিবহনে চাঁদাবাজিও নেই। ফলে দাম কমিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। তারা বলেন, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মূলত ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট দায়ী ছিল। এখন সেটা ভেঙে পড়ায় আগের চেয়ে দাম অনেকটা কমে আসতে শুরু করেছে। তারা আরও জানান, সরকারি দলের ছত্রছায়ায় এ সিন্ডিকেট সারা দেশের মতো বগুড়ায়ও শক্তিশালী ছিল। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেননি। গতকাল বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে আলুপ্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা; যা আগে ছিল ৭০ টাকা। দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০, বেগুন ৮০, পটোল ৬০, ঢ্যাঁড়শ ৬০, শসা ৬০, বই কচু ৮০, করলা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘাটে ঘাটে চাঁদা ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি সবজির ওপর ৫ থেকে ৭ টাকা দর কমেছে। এদিকে বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল মানভেদে ৫৪-৫৮, রঞ্জিত ৫৬-৫৮, কাটারিভোগ ৬৬-৬৮, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৮০ টাকা আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা যায়। বগুড়া সদর উপজেলার পল্লীমঙ্গল এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি ১০ শতাংশ জমিতে পটোলের আবাদ করেছেন। দুই দিন পরপর ৬০ কেজি করে ফলন তোলেন। এগুলোয় জমিতেই ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। তার পরও তার লাভ থাকছে। কারণ কোনো অতিরিক্ত টাকা তাকে দিতে হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর