রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বগুড়ায় ফুল কেনাবেচা আবার জমে উঠেছে

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় ফুল কেনাবেচা আবার জমে উঠেছে

বগুড়ায় আবারও জমে উঠেছে ফুল মার্কেট। ১৬ জুলাই বগুড়াসহ সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ-ছাত্র দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শহরের বিভিন্ন বিপণিবিতান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় ফুল মার্কেটও। টানা ২০ দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে আবারও জমে উঠেছে ফুল মার্কেট। অভিনন্দন জানাতে তোড়া বানানোর জন্য ফুল মার্কেটে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ছাত্র-জনতা। যার যার পছন্দমতো ফুল কিনছে। বগুড়া ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ দাস জানান, ‘এ মার্কেটে ১৭টি দোকান রয়েছে। বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা ফুল মার্কেট খুলতে পারিনি। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে পুলিশ-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় অন্য জেলা থেকে বগুড়ায় ফুল আসেনি। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে ফুল মার্কেটে বেচাকেনা জমে উঠেছে।’ তিনি আরও জানান, আগের চেয়ে ফুলের দাম কমেছে। বর্তমানে লাল গোলাপ ৫-৬ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৭-৮ টাকা। থাই গোলাপ ১০ টাকা পিস। আগে ছিল ১৫ টাকা। এ ছাড়া রজনিগন্ধা ৮, জারবেরা ৮ টাকা পিস। গাঁদা ১০০ পিস ৮০, গর্জা ১ পিস ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে ফুলের তোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। ফুল কিনতে আসা ইয়াকুবিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোছা. জান্নাতি খাতুন ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোছা. মারজিয়া খাতুন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর ফুলের দাম কমেছে। এর আগে অনেক দাম দিয়ে ফুল কিনতে হয়েছে। চাহিদা এবং সাধ্যের মধ্যে ফুল কিনতে পেরে অনেক খুশি। তাদের মতো বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোছা. রিফাহ খাতুন এসেছেন ফুল কিনতে। বান্ধবীর জন্মদিনে ফুল উপহার দেবেন। এদিকে বগুড়া শহীদ খোকন পার্ক এলাকার ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বগুড়ায় প্রায় সব ধরনের ফুল চাষ হচ্ছে। যেমন গোলাপ, রজনিগন্ধা, গ্লাডিয়া, জারবেরা, গাঁদা, জিপসি, কামিনীপাতা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্ল্যাডিওলাক্স, কম্পন, রড স্টিক। এসব ফুল চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বর্তমানে বগুড়ার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায়ও এসব ফুল বিক্রি করছেন। বগুড়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া বিক্রি বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা যশোর, কালীগঞ্জ থেকেও ফুল নিয়ে আসেন বগুড়ায়। বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে এগিয়ে আছে সদর উপজেলা। এ ছাড়া জেলার শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর ও সোনাতলা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর