মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাটের দামে খুশি নন কৃষক

নাটোর প্রতিনিধি

পাটের দামে খুশি নন কৃষক

কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি, আবার কখনো টানা খরতাপ। এসব বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই জমি থেকে পাট কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটোরের সিংড়ার কৃষকরা। এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এর সন্তোষজনক দাম পাচ্ছেন না তারা। কৃষকরা বলছেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ পাটের দাম ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বেচাকেনা হলেও এখন আর সেই দাম নেই। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণে দাম কমেছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রবি পাট-১ ও অন্যান্য দেশি জাতের ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার কলম, শেরকোল, হাতিয়ান্দহ, চামারী ও লালোড় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে ও ঘুরে দেখা যায়, পাটচাষিদের কর্মব্যস্ততা। উপজেলার শেরকোল পুঠিমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি খালে দেখা যায়, চাষিরা পানিতে জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ খালের কোমর পানিতে কাজ করছেন ১৫ থেকে ২০ শ্রমিক। এর মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। নারী শ্রমিকরা জানান, আঁশ ছড়ানো পাট খড়ি দুই ভাগের এক ভাগ নেওয়ার শর্তে তারা এ কাজ করছেন। শেরকোল হাড়োবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আতাহার আলী বলেন, ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। দুই দিন আগে কেটে ঘরে তুলেছি।

আতাহার জানান, হাল চাষ, পানি সেচ, সার, বীজ ও শ্রমিক খরচসহ জমি থেকে পাট কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আমার প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন পেয়েছি ৮ থেকে ৯ মণ। বর্তমান বাজার ২৬০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা প্রতি মণ। সেই হিসাবে আমার তেমন লাভ হবে না। পাটের দাম প্রতি মণ ৪ হাজার টাকা করার দাবি জানান তিনি। কলম গ্রামের কৃষক রহিদুল ও পম গ্রামের কৃষক সানোয়ার জানান, পাট বপনের শুরু থেকেই এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জমিতে ৪ থেকে ৫ বার পানি সেচ দিতে হয়েছে। যা গত বছর লেগেছিল ১ থেকে ২ বার। এ ছাড়া তেল, সার ও শ্রমিক খরচ পড়েছে বেশি। সব মিলে এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে দেড় গুণ। উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার ফরিদ জানান, চলতি অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনায় ১ হাজার ৯০০ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ১ কেজি করে রবি পাট-১ জাতের বীজ দেওয়া হয়েছিল। এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে।

 

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর