ফরিদপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অমিতাভ বোসসহ ৬ জনকে আসামী করে ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (দ্রুত বিচার) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাসিম মাহমুদের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামচুল আলম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেন। গতকাল মামলাটি দায়ের করেন কোতয়ালী থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফর সরদার নামের এক ব্যক্তি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা নথিভুক্ত করতে কোতয়ালী থানাকে আদেশ দিয়েছেন। মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, ভিন্ন দল করার কারনে আসামীরা তার (লুৎফর সরদার) কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে এ বছরের ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামীরা রামদা, ছ্যানদা, বল্লম, সড়কি, লোহার রড নিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভয় দেখায়। এসময় তাদের ১ লাখ টাকা দিয়ে প্রান ভিক্ষা চাইলে তারা আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদমভাবে মারপিট করে। এসময় আসামীরা আমাকে হাত-পা রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এসময় আমার স্ত্রী বাঁধা দিলে তাকেও ঘরে আটকে রাখা হয়। আসামীরা পরে ঘরের সমস্ত মালামাল ভাংচুর করে ও নগদ টাকা, স্বর্নালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। মামলার বাদি লুৎফর রহমান জানান, আসামীরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এতদিন কোন কিছুই বলা যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় মামলা করা হয়েছে। কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লুৎফর সরদারের মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।