৫ আগস্ট দুর্বৃত্তদের হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও আর আগুন দেওয়ার বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে মুক্তিযোদ্ধাদের দলিলসহ সরকারি নথিপত্র পুড়ে গেছে, এতে ৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এক টুকুরো কাগজও অবশিষ্ট ছিল না। সাদা রঙের ভবনটি আগুনে পুড়ে এখন কালো রং হয়ে আছে। ইউএনওর অফিস কক্ষ, বাসভবনসহ উপজেলা সদরের প্রায় ২০টি দপ্তরে দুর্র্বৃত্তরা হামলা চালায়। সদর ইউএনও ফিরোজা পারভীন স্বাক্ষরিত এক পত্রে ১৩ আগস্ট জানানো হয়, নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ভাঙচুরে ক্ষতি প্রায় ৪০ লাখ টাকা, বাসভবন ভাংচুর প্রায় ২৫ লাখ টাকা, আনসার সদস্যদের ক্ষতি প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদ এর সভাকক্ষ ভাংচুর অগ্নিসংযোগে ক্ষতি প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা, কৃষি অফিসের ক্ষতি ৬৩ লাখ টাকা, এলজিইডি অফিসের ক্ষতি ৬৫ লাখ টাকা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্ষতি প্রায় ২৫ লাখ টাকার, যুব উন্নয়নের ক্ষতি ২৮ লাখ টাকার, তথ্য ও যোগাযোগ এর ক্ষতি ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, অফিসার্স ক্লাবের ক্ষতি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস ভাংচুর অগ্নিসংযোগে ক্ষতি ৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, তথ্যকেন্দ্র ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ক্ষতি অজানা, সমাজসেবা অফিসের ক্ষয়ক্ষতি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর আগুনে এতটায় পুড়ে গেছে যে ছাই ছাড়া কিছুই মিলছে না। বিদ্যুৎ সংযোগ তার, মিটার, হোল্ডার, লাইট, রুমের টাইলস, দপ্তরে থাকা চেয়ার, টেবিল, কাগজপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নগদ অর্থ, বিভিন্ন কাজের চেকপত্র, বিল ভাউচার, প্রাশাসনিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বিভিন্ন দপ্তরের কোন কিছুই পুনরায় ব্যবহার করতে পারছে না কোন দপ্তর। উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক ফিরোজা পারভীন জানান, গত ৫ আগস্ট সদর উপজেলা পরিষদে দুর্বৃত্তদের হামলায় ও অগ্নিসংযোগে যে ক্ষতি হয়েছে তার একটি হিসাব দাঁড় করানো হয়েছে। কিছু কিছু দপ্তরে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বের করা যায়নি। সেগুলোও বের করার কাজ চলছে।