কুড়িগ্রামের আড়াই শ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ছাত্র ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ কিট উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেয়াদোত্তীর্ণ কিটের মধ্যে রয়েছে- ভেরিসল-৮৮টি পিস, উইডাল ফাস্ট কিট-১৪ পিস, অ্যালবুমিন-১০ পিস, এইচডিএল কলেস্ট্রোল-৫ পিস, ঐসিটিক এসিড-৩ পিস, কিউসি সলুশন-৪ পিস, লিইসোম্যান স্টেইন-১ পিস, এএলপি (ডিইএ) ২ পিস, জিইমাস স্টেইন-২ পিস, অ্যাটোক্যাল-২ পিস, গ্লুকাজইপ্যাপ-১ পিস। এসব কিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেগুলো ফ্রিজিং করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জানান, এসব কিট দিয়ে রোগীদের রক্ত, প্রস্রাবসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়।
কুড়িগ্রাম ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক এ এস এম মাসুম-উদ-দৌলা বলেন, প্যাথলজিক্যাল কিট পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী দিয়ে পরীক্ষা চালানো বিরাট অপরাধ। আমরা অভিযান চালিয়ে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ কিট জব্দ করেছি। পরবর্তীতে এগুলো ধ্বংস করা হবে।