গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে অবস্থিত রংপুর চিনিকলের উৎপাদন কার্যক্রম ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বন্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ এ চিনিকলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা তখন থেকে হুমকির মুখে পড়ে। ভোগান্তির শিকার হন আখচাষিরা। এ চিনিকলের চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ কম আখের জোগান নিয়েও পাশের জেলার চিনিকল চালু রাখা হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া এ চিনিকলের আখ দিয়েই ওই কারখানা বর্তমানে চালু রয়েছে। চিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চিনিশিল্প ধ্বংসের খেলায় মেতেছিল বিগত স্বৈরাচারী সরকার। গাইবান্ধার একমাত্র এ ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান রংপুর চিনিকল সচলের দাবিতে গতকাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বিগত সরকারের শাসনামলে চিনিশিল্প ধ্বংসকারী মন্ত্রী, আমলা ও অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিচার দাবি জানানো হয়। গতকাল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে রংপুর চিনিকল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এ কর্মসূচিতে ছাত্রদের পাশাপাশি চিনিকলের চাকরিচু্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী, কাজ নেই মজুরি নেই ভিত্তিক কর্মচারী, আখচাষি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার অর্ধসহস্রাধিক মানুষ এতে অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, অবৈধ চিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বিগত স্বৈরাচারী সরকার চিনিশিল্পকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছিল। আবদুর রহিম বোরহানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ওমর ফারুক, অয়ন সুলতান প্রমুখ।
সাজ্জাদ হোসেন সাগর, আতিক শাহরিয়ার শান্ত, পলাশ ইসলাম জয়, সামিউল্লাহ শাহ ফকির, আবু সুফিয়ান সুজা, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, তৈয়ব হোসেন, নাজমুল হুদা রতন, ফারুক হোসেন ফটু, আতাউর রহমান নান্নু প্রমুখ। কর্মসূচিতে অশীতিপর আখচাষি নেতা জিন্নাত আলী প্রধান উপস্থিত ছিলেন।