তিস্তা নদীতে বাড়ছে পানি। দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত দুই দিনে তিস্তার ডান তীর লালমনিরহাট সদর উপজেলার হরিনচড়া গ্রামের ৩০০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেললেও তা কাজে আসছে না। জানা যায়, দুই দিন থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ভয়ে আছে নদী তীরের মানুষ। উজানের ঢল যেকোনো সময় লালমনিরহাটে প্রবেশ করতে পারে শঙ্কা তাদের। তিস্তা পাড়ের কদম আলী বলেন, নদীর পানি একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে বলছেন ভারতের বাঁধ ভেঙে তিস্তায় বন্যা শুরু হবে। আমরা আতঙ্কে আছি। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। বন্যার শঙ্কা নেই। মানুষদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, জেলার কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। জিও ব্যাক ফেলে ভাঙন রোধে কাজ করছে পাউবো। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমা ৭৩ সেন্টিমিটার নিচে। এরআগে বৃহস্পতিবার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।